কোরআনে ৩৩টি আয়াতে নৌকা/নৌযান/জাহাজ ইত্যাদির কথা বলা আছে। এর মধ্যে, “আল্লাহর আদেশ নৌযান চলে”, এমন কথা আছে মাত্র কয়েকটি আয়াতে।
কোরআনের এই ১৪:৩২, ১৭:৬৬, ২২:৬৫, ৩০:৪৬, ৩১:৩১, ৪৫:১২ ছয়টি আয়াতে, সরাসরি ওই কথাটি আছে – আল্লাহর নির্দেশে জাহাজ চলে।
এখানে প্রশ্ন আসে – নৌকা বা জাহাজ মানুষ নিয়ন্ত্রন করে। কোরআনে “আল্লাহর নির্দেশে চলে” এমন লেখা কেন? এর ব্যখ্যা কি?
মজার ব্যাপার, প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে, একজন অমুসলিম ব্যক্তি এই ব্যাখ্যা দিয়েছেন। দুনিয়াতে কোরআন আসার আগে, মুহাম্মাদ (স) এর জন্মের আগে, এমনকি ঈসা (আ) নবীর জন্মের আগে থেকেই এই ব্যখ্যা আছে।
একটি লোহার পেরেক পানিতে ডুবে যায়, কিন্তু লোহার তৈরি বিশাল জাহাজ ভেসে থাকে কিভাবে? এর কারণ হলো – কোন জিনিস ভাসবে, সেটার একটি সুনির্দিষ্ট নিয়ম আছে।
কোন বস্তু পানিতে রাখলে, কিছুটা জায়গা দখল করে, কিছুটা পানি অপসরন করে। ওই অপসরন হওয়া পানির ওজন যদি ওই বস্তুটির ওজনের চেয়ে বেশি হয়, তাহলে সেই বস্তুটি পানিতে ভাসে।
জাহাজ বানানোর সময়, এই নিয়ম মেনে বানানো হয়। যাতে, জাহাজটা ভেসে থাকতে পারে। প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে, এই ব্যখ্যা আবিস্কার করেছিলেন – আর্কিমিডিস (ছবি দেখুন)।
এই নিয়মটা ব্যখ্যা করেছিলেন আর্কিমিডিস। কিন্তু নিয়মটা বানিয়েছে কে? পানি গরম করলে বাষ্প হয়, আর ঠান্ডা করলে বরফ হয়। এটা প্রাকৃতিক নিয়ম, আল্লাহর বানানো নিয়ম। ঠিক তেমনই – কেমন হলে ভাসে, কেমন হলে ডুবে, সেটা আল্লাহর বানানো নিয়ম। এটাই আল্লাহর নির্দেশ।
কোরআনে লেখা “আল্লাহর নির্দেশে জাহাজ চলে” কথাটির অর্থ – আল্লাহর দেওয়া প্রাকৃতিক নিয়মে মেনে, জাহাজ চলে।