দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে পলাতক চাঞ্চল্যকর পৃথক দুইটি হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি গ্রেফতার

মোঃ নুরুল আলমকে পেকুয়া থেকে

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে পলাতক পেকুয়া থানার টৈটং ইউনিয়নের চাঞ্চল্যকর পৃথক দুইটি হত্যা মামলার (মোঃ উকিল ও নাজির আহমেদ হত্যা মামলা) ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মোঃ নুরুল আলমকে পেকুয়া থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম।

১। র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

২। গত ২০০৪ সালের এপ্রিল মাসে নিহত ভিকটিম মোঃ উকিল মাগরিবের নামাজ শেষে করে বাসায় ফিরে আসার সময় কক্সবাজার জেলার পেকুয়া থানাধীন টইটং বাজার এলাকায় পুর্বশত্রুতার জেড়ে কতিপয় দৃস্কুতিকারীরা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করে এবং দেশীয় ধাড়ালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নির্মম ও নৃশংসভাবে ঘটনাস্থলেই হত্যা করে পালিয়ে যায়। উক্ত ঘটনায় মোঃ নুরুল আলম নিহত ভিকিটিমের মাথায় ধারালো ছুরিকাঘাত করে মৃত্যূ নিশ্চিত করে। এ ব্যাপারে কক্সবাজার জেলার পেকুয়া থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। যার নং- ২৫ জিআর ১৪৭/১৪ তারিখ জুলাই ২০০৪, ধারা ১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩০২/৩৮০ দন্ডবিধি ১৮৬০)। উল্লেখিত হত্যা কান্ডের ঘটনায় মোঃ নুরুল আলম মূল পরিকল্পণাকারী ও অন্যতম প্রধান আসামী ছিলো।

৩। এছাড়াও গত ২০১৪ সালে আরেকটি নৃশংস হত্যাকান্ড ঘটেছিল কক্সবাজার জেলার পেকুয়া থানাধীন টৈটং এলাকায়। যেখানে মোঃ নুরুল আলম তার চাচা নাজির আহমেদ’কে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করে। দুই পরিবারের মধ্যে পারিবারিক কলহের জের ধরে নজির আহমেদকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায়ও মোঃ নুরুল আলম মূল পরিকল্পণাকারী ও অন্যতম প্রধান আসামী ছিলো।

৪। এই জোড়া খুনের মামলার ঘাতক আসামী মোঃ নুরুল আলম টৈটং এলাকার কুখ্যাত অপরাধী হিসেবে পরিচিত। হত্যাকান্ডের পর থেকে সে টৈটং এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে আতœগোপন করে থাকে। সে বিগত ১৭ বছর ধরে আতœগোপন থাকাকালীন এক জায়গায় বেশী দিন অবস্থান করেনি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাত থেকে গ্রেফতার এড়ানোর লক্ষ্যে সে ঘন ঘন জায়গা পরিবর্তন করে অবস্থান করত। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, উল্লেখিত জোড়া খুনের মামলা ঘাতক পলাতক আসামী মোঃ নুরুল আলম দীর্ঘ ১৭ বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে পলাতক থাকায় পর আবার নিজ এলাকায় ফিরে এসে নিজ বাড়িতে অবস্থান করে পুর্বে ন্যায় আধিপত্য বিস্তারসহ তার সকল অপকমের্র পাশাপাশি গাঁজার ব্যবসা শুরু করেছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ০২ এপ্রিল ২০২২ ইং তারিখ আনুমানিক ১৭৪০ ঘটিকায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসমী মোঃ নুরুল আলম (৪৮), পিতা-হোছান আলী, সাং-আলিঙ্গা কাটা, থানা- পেকুয়া, জেলা-কক্সবাজার’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামী অকপটে স্বীকার করে যে, সে উক্ত মামলার এজাহার নামীয় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী এবং ঘটনার পর হইতে সে পলাতক রয়েছে। উল্লেখ্য যে, বর্তমানে সে এলাকায় গাঁজা আলম নামে পরিচিত।

৫। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কক্সবাজার জেলার পেকুয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Exit mobile version