দুমকিতে ঘরবন্দী ১০ পরিবার। রাতের আধারে চলাচলের রাস্তায় ঘর নির্মাণ!

একই সাথে বন্ধ রয়েছে ছেলেমেয়েদের স্কুল কলেজে যাওয়া আসা।

মো.সুমন মৃধাঃদুমকি(পটুয়াখালী)প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর দুমকিতে অর্ধশত বছরের চলাচলের পথ আটকিয়ে রাতের আঁধারে বারান্দা নির্মাণ করেছে প্রতিপক্ষরা। মঙ্গলবার গভীররাতে উপজেলার উত্তর পাঙ্গাশিয়া গ্রামে এমন দখলদারিত্বের ঘটনাটি ঘটেছে। এতেকরে ১০টি পরিবার ঘরবন্দী হয়ে পরেছে। বিষয়টি নিয়ে থানায় লিখত অভিযোগ করলে দীর্ঘ ২৪ ঘন্টায়ও বন্দীদশা থেকে মুক্তি মেলেনি অই পরিবারগুলোর। একই সাথে বন্ধ রয়েছে ছেলেমেয়েদের স্কুল কলেজে যাওয়া আসা।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, উপজেলার উত্তর পাঙ্গাশিয়া গ্রামের আবদুল গনি মৃধার ছেলে মো: নুর ইসলাম মৃধার সাথে একই বাড়ির মৃত ফকু হাওলাদারের ছেলে হাবিব হাওলাদারের জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধ রয়েছে। ওই বিরোধের জের ধরে হাবিব হাওলাদার, মামুন হাওলাদার, মাজহারুল, ইব্রাহীমসহ একটি লাঠিয়াল বাহিনী গভীররাতে চলাচলের রাস্তা আটকে বসত:ঘরের বারান্দা নির্মাণ করে। এতে নুর ইসলাম, মোঃ মোস্তফা হাওলাদার,ফারুক হাওলাদার, খলিল হাওলাদার, মন্নাফ হাওলাদারের পরিবারসহ ওই বাড়ির ১০টি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে নুর ইসলাম মৃধা বাদি হয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে দুমকি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলে বুধবার দুপুর ২টায় থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে পক্ষদ্বয়কে জমিজমার দলিল দস্তাবেজসহ থানায় আসতে বলেন।  অভিযোগের বিষয়ে হাবিব হাওলার বলেন, আমাদের জমিতে বসত:ঘর এবং বারান্দা তোলা হয়েছে। এতো দিন আমাদের জমির ওপর দিয়ে সবাই চলাচল করেছে। এখন আমার জমিতে বারান্দা দেয়া দরকার হয়েছে বলে বারান্দা দিয়েছি। এতে কোন অন্যায় হয়েছে বলে মনে করি না। দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আবদুস সালাম অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিৎ করে বলেন, দু’পক্ষকে নোটিশ করা হয়েছে। কাগজপত্র দেখে পরবর্তি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
Exit mobile version