দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর দুমকিতে দাবিকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে প্রতিবেশীর বসতঘরে হামলা, ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সারে ছয়টার দিকে উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের সাতানি গ্রামের জনৈক আবুল হোসেনের ছেলে মোঃ বেল্লাল হোসেনের বাড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে। এঘটনায় থানা পুলিশ অভিযোগ না নেয়ায় পটুয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট আদালতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একটি চাঁদাদাবির মামলা করা হয়েছে।
যাহার মামলা নং সিআর – ১৪/২০২৫(দুমকি)।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, গতবুধবারসন্ধা সারে ছয়টার দিকে সাতানি গ্রামের মোঃ আবুল হোসেনের ছেলে মুদি ব্যবসায়ি মোঃ বেল্লাল হোসেনের নতুন বাড়িতে একই গ্রামের এমদাদ হাওলাদারের ছেলে জেলা যুবদলের ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান লাল মিয়া, সাবু ও সাইফুলের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জনের একদল দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালিয়ে এলোপাথারী মারধর, নগদ টাকা স্বর্ণালঙ্কার লুঠ ও বসতঘর ভাঙচুর করে।
এর আগে হামলাকারী যুবদলনেতা মিজানুর রহমান লাল মিয়া ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন বলে অভিযোগ বেল্লালের। ওই টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তার বসতবাড়িতে হামলা চালায়।
ভুক্তভোগী বেল্লাল হোসেন জানান, তিনি সাবেক মন্ত্রী রুহুল আমিন হাওলাদারের দুমকিস্থ নির্মাণাধীন মসজিদ কমপ্লেক্সের দেখাশোনার কাজ করছেন। গত কয়েকদিন যাবত জেলা যুবদল নেতা মিজানুর রহমান লাল মিয়া তার কাছে ২লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলো। চাঁদা না দেওয়ায় ঘটনার দিন বিকাল থেকে কয়েকবার তার বসত বাড়িতে এসে তাকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য গালিগালাজ করে এবং টাকা না দিলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। সন্ধা সারে ছয়টার দিকে কয়েকটি মোটরসাইকেল যোগে লাল মিয়া, সাবু ও সাইফুলের নেতৃত্বে ১০/১২জন দুর্বিত্তরা আমার বসতঘরের দরজা জানালা পিটাতে থাকে এবং হত্যার উদ্দেশ্যে ঘরে ঢোকার চেষ্টা করে। ঘরে ঢুকতে ব্যার্থ হয়ে রাস্তায় পেলে হত্যার হুমকি দিয়ে যায়। এর আগে গত ৫আগষ্টের পর তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও হামলা চালিয়েছে ওই দুর্বত্তরা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত লাল মিয়া মুঠোফোনে বলেন ঘটনাটি সম্পুর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বেল্লাল আ’লীগের দোসর। উপজেলা জাতীয় ছাত্র সমাজের সাধারন সম্পাদক। বুধবার সকাল বেলা ওর সাথে একটু ঝামেলা হয়েছে, তা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সে নাটক সাজিয়েছে।
দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাকির হোসেন বলেন, ৯৯৯ কল পেয়ে এসআই আমিনুলকে ঘটনাস্থলে তদন্তে পাঠানো হয়। অভিযোগ দিতে বলা হলেও শুনেছি তারা কোর্টের আশ্রয় নিয়েছে।
##