দুমকি(পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর দুমকিতে এক সংখ্যালঘু পরিবারে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গভীর রাতে ১৪/১৫জনের একটি সশস্ত্র মুখোষধারী দুর্বৃত্তের দল দরজা-জানালা ভেঙ্গে বসত:ঘরে ঢুকে পরিবারের সদস্যদের এলোপাথারী মারধর, আসবাবপত্র তছনছ, মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। দুবৃত্তের হামলায় দু’নারীসহ পরিবারটির অন্তত: ৪সদস্য আহত হয়েছে। গুরুতর আহত এক নারীকে রাতেই পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও অপর নারী সদস্যকে দুমকি উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে রাতের অন্ধকারে মুখোষ থাকায় দুবৃত্তদের কাউকে সনাক্ত করা যায়নি বলে জানিছেন ওই পরিবারের সদস্যরা। জমিজমার পূর্ববিরোধী পক্ষের ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনী এ হামলা ও লুটপাটের ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে ধারণা তাদের (সংখ্যালঘু পরিবার)। অপর পক্ষকে ফাঁসাতে লুটপাটের ঘটনাটি সাজানো বলে দাবি প্রতিপক্ষের।
জানাযায়, গতরবিবার গভীর রাতে (রাত দেড় টা) উপজেলার দুমকি সাতানী গ্রামের ভারত প্রবাসী বনমালী শীলের ভাতিজা বীরবল শীলের বাড়িতে হামলা লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ বীরবল শীলের। অভিযোগ করে বীরবল শীল জানায়, জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের একটি মামলায় গ্রেফতারের ভয়ে বাড়িতে না থাকার সুযোগে ১৪/১৫জনের একটি মুখোষধারী দুর্বৃত্তের দল তার বসত:ঘরের দরজা-জানালা ও টিনের বেড়া ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে ছেলে উজ্জল শীল (৩০), ছেলের বউ সঙ্গীতা রানী (২৪), মা সুমতি রানী (৬০) ও বেড়াতে আসা মেহমান বিকাশ চন্দ্র শীল (১৯)কে এলোপাথারী পিটিয়ে জখম, আসবাব পত্র তছনছ, ও নগদ টাকা স্বর্ণালংকার লুটপাট করে নিয়ে গেছে। এসময় আহতদের ডাক চিৎকারে প্রতিবেশী লোকজন এগিয়ে আসলে দুবৃত্তরা দ্রুত পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে দুমকি থানা পুলিশের একটি টিম রাত আড়াইটার দিকে ঘটনাস্থলে পৌছে গুরুতর আহত সুমতি রানীকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বাকীদের দুমকি উপজেলা হাসপাতালে পাঠায়। বীরবল শীলের ছেলে আহত উজ্জল শীল জানায়, দুবৃত্তদের মুখোমন্ডল কালো কাপড়ে ঢাকা থাকায় কাউকে চিনতে পারেনি। অপর দিকে জমিজমা নিয়ে বিরোধী পক্ষ আবদুল লতিফ হাওলাদারের জামাতা মোস্তফা সিকদারের দাবি, তাদের ফাঁসানোর জন্য হামলা ও লুটপাটের অভিযোগটি সাজানো হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে দুমকি থানায় কোন পক্ষই অভিযোগ করেনি।
দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ তারেক মো: আবদুল হান্নান বলেন, এঘটনায় কোন পক্ষই অভিযোগ করেনি। হামলা লুটপাটের ঘটনাটি সঠিক নাকি সাজানো এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি একটু বাইরে আছি, ঘটনাস্থলে যারা গিয়েছে, তাদের কাছ থেকে ভালোভাবে জেনে পরে বলবো।
#