দুমকি(পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর দুমকিতে সর্বোচ্চ আদালতের রায়প্রাপ্ত কবলা জমিতে বসত:ঘর তৈরীতে বাঁধা প্রদান এবং ইট, বালু সিমেন্টসহ নির্মাণ সামগ্রী লুটের অভিযোগ উঠেছে । উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের দুমকি সাতানী গ্রামের ৪৩৭ নং এসএ খতিয়ানের রেকর্ডিও মালিক মৃত রাজ কুমার শীলের পুত্র বনমালী শীলের ভাইয়ের ছেলে বীরবল শীলের নেতৃত্বে ১০/১৫জনের একটি সশস্ত্র দুবৃত্ত গত ২৬ ফেব্রুয়ারি দুপুর দেড়টায় মৃত লতিফ হাওলাদারের নির্মাণাধীন বাড়িতে এ হামলা ও লুটপাটের ঘটনাটি ঘটিয়েছে। দুর্বৃত্তরা পুরুষশূণ্য নির্মাণাধীন বাড়িতে আকস্মিক সন্ত্রাসী তান্ডব চালিয়ে স্তুপকৃত মালামাল লুটে নেয় ও তাদের পার্শ্ববর্তি পুকুরে ফেলে নস্ট করে এবং প্রাণ নাশের হুমকিতে পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। গতকাল রবিবার সকালে প্রেসক্লাব, দুমকির হলরুমে আয়োজিত জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে গ্রহিতা প্রায়ত লতিফ হাওলাদারের জামাতা, দুমকি সাতানী মকিমজান নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা সিকদার পরিবারটির পক্ষে দেয়া লিখিত বক্তব্যে এসব অভিযোগ করেন।
মোস্তফা মাষ্টার বলেন, দুমকি সাতানী মৌজার রাজ কুমার শীলের পুত্র বনমালী শীলের কাছ থেকে তার শশুর আবদুল লতিফ হাওলাদার (কন্ট্রাক্টর) ১৯৯৪ সালে রেজিষ্ট্রিকৃত কবলা মূলে সাড়ে ৯৭ শতাংশ জমিটি কিনে টিন শেড বাড়ি নির্মাণ করেন। ওই জমির দাতা বনমালী শীলের দলিল ভাক্ত দাবি করে বীরবল শীল পটুয়াখালী জেলা জজ আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা নং সিআর ৪৫৭/৯৬ দায়ের করেন। একই মামলা হাই কোট ও সুপ্রীমকোর্টে গড়ালেও সবক’টি রায়ে পরাজিত হয়ে এখন সংখ্যালঘুর সাম্প্রদায়িক ইস্যুকে পূঁজি করে প্রতিপক্ষরা জবরদখলের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে।
এদিকে মামলায় তিন তিনটি রায় পক্ষে থাকায় সম্প্রতি ভবন নির্মাণের জন্য ইট, বালু সিমেন্ট কিনে জমা করেন এবং নির্মাণ কাজ শুরু করলে প্রতিপক্ষ বনমালী শীলের ভাইয়ের ছেলে বীরবল শীলের নেতৃত্ব সংখ্যালঘু পরিবারটি আকস্মিক হামলা চালিয়ে সমস্ত মালামাল লুটে নিয়েছে। সংখ্যালঘু বীরবল শীলের ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনীর অব্যাহত হুমকিতে পরিবারটি বর্তমানে চরম নিরাপত্তহীনতায় দিনাতিপাত করছে। ভবিষ্যতে তারা পরিবারের সদস্যদের যে কোন সময় হামলা, খুন জখমের আশংকায় উদ্বিগ্ন হয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। একই সাথে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেন।
অভিযুক্ত বীরবল শীল প্রতিপক্ষের আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা সংখ্যালঘু পরিবারটির ২নারী ও একছেলেকে মারধর করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন।
দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ তারেক মো: আবদুল হান্নান বলেন, এ ঘটনায় পক্ষে বিপক্ষে থানায় ও কোর্টে মামলা হয়েছে। মামলা তদান্তাধীন আছে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।