মো.সুমন মৃধাঃ দুমকি পটুয়াখালী প্রতিনিধি।।
পটুয়াখালীর দুমকিতে বড় তিনটা বাজারে টয়লেট থেকেও নেই,এতে ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে মার্কেটে আসা ক্রেতারা,তবেঁ টয়লেটের এই ভোগান্তি থেকে রক্ষা পাচ্ছে না বাজারের ব্যবসায়ীরাও।দুমকি উপজেলার প্রধান বাজার হচ্ছে দুমকি পীরতলা বাজার,এই বাজারের দু-পাশেই অবস্থিত পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,বিশ্ববিদ্যালয়টি এখানে অবস্থিত হওয়ার কারণে দুমকি বাজারের গুরুত্ব অনেক।দুমকি বাজারে বিভিন্ন ধরনের কয়েক শত ছোট-বড় দোকান রয়েছে।আর এসকল দোকানে প্রতিদিনই হাজারো ক্রেতা-বিক্রেতা ও পথচারীদের সমাগম হয়ে থাকে।বাজারে আসারপর কারো টয়লেটে যাওয়ার প্রয়োজন পরলে এখানে টয়লেটে যাওয়ার মতো কোন পরিবেশ নেই।
সরেজমিন দেখা যায় দুমকি পীরতলা বাজারের মাছ বাজার এলাকায় দুটি টয়লেট থাকলেও তা বাজারের সকল ময়লা ফেলে টয়লেট দুটি ময়লার ভাগাড়ে পরিণত করে রেখেছে।টয়লেট দুটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে রয়েছে।সাধারণ মানুষ টয়লেট ব্যবহার না করতে পেরে টয়লেটের আশেপাশে মল ত্যাগ করে রেখেছে।টয়লেটে আসা যাওয়ার মতো কোন ব্যবস্থাও নেই।টয়লেটের এই বেহাল অবস্থার কারণে বেশি ভোগান্তি হচ্ছে বাজারে আসা মহিলা ও শিশুদের।
দুমকি বাজারে টয়লেটের এই বেহাল অবস্থার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাজারে আসা
সৈয়দ আতিকুল ইসলাম নামে একজন বলে আমরা দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের দাবী জানাই এবং একইসাথে তিনি প্রশ্ন তুলেন বাজার থেকে প্রতি বছর ইজারার মাধ্যমে যে ৮/১০ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয় সেই টাকা দিয়ে কি করা হয় তাও আমরা জানতে চাই।
দুমকি বাজারের টয়লেটের এই দুরবস্থার জন্য বাজারের ব্যবসায়ীরা বণিক সমিতির অবহেলাকে দায়ী করছে,তবে বণিক সমিতি বলছেন ব্যবসায়ীদের কারণেই দুমকি বাজারের টয়লেটের এই বেহাল অবস্থা।
একই অবস্থা দুমকি সিনেমাহল নতুন বাজারেরও সেখানেও দুটি পালিক টয়লেট থাকলেও তা সবসময় তালা দেয়া অবস্থায় থাকে,তাই নতুন বাজারে আসা ক্রেতা বা পথচারীরাও আছে টয়লেটে যেতে না পারার সমস্যায়।আর দুমকি থানাব্রীজ মার্কেটে কোন টয়লেটই নাই।
দুমকি বাজারের টয়লেট এর বেহাল অবস্থার বিষয়ে জানতে চাইলে দুমকি বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল হোসেন বলেন-পীরতলা বাজারের নামে কোন জমি নাই,যা কিছু আছে সব মালিকানা সম্পত্তি,তাই উন্নয়ন মুলক কাজ করার সুযোগ থাকলেও করার কোন যায়গা নাই এটা আমাদের প্রধান সমস্যা,২০২১ সালে উপজেলা চেয়ারম্যান দুমকি বাজারে আধুনিক টয়লেট স্থাপন করার জন্য ১৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন,যে কাজ দুমকি বাজার জামে মসজিদের মধ্যে বর্তমানে চলমান৷যায়গার অভাবে বাজারের কোথাও টয়লেট বসানো সম্ভব হয় নাই।বাজারে আসা সকল ক্রেতা-বিক্রেতারাই মসজিদ এড়িয়ায় তৈরি হওয়া টয়লেট গুলো ব্যবহার করতে পারবেন। মহিলারা কিভাবে মসজিদের ভিতরে গিয়ে টয়লেটের কাজ সারবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন মহিলা এবং শিশুদের জন্য মাছ বাজারের যে টয়লেট দুটি পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে সেগুলো রিপেয়ারিং করে দেয়া হবে।