দুমকি(পটুয়াখালী)পটুয়াখালী॥ পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ফার্মাসিস্টের পরিবর্তে জুনিয়র মেকানিক, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, সিস্টার ও এমএলএসএস দিয়ে ঔষধ বিতরণের অভিযোগ উঠেছে ।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কেবল একজন ফার্মাসিস্ট মোঃ রুহুল আমিনকে স্টোরের দায়িত্ব, ঔষধ বিতরণ, ওয়ার্ডে ঔষধ সরবরাহ সহ আরও অনেক কাজ করতে হয়। এর ফলে প্রায়ই জুনিয়র মেকানিক মোস্তফা, এমএলএসএস বশির, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর রথিন মালাকার ও সিস্টারেরা সাধারন রোগীদের ঔষধ বিতরণ করেন। এতে তারা রোগীদের প্রায়ই ভুল ঔষধ বিতরণ করেন। ফলে জনস্বাস্থ্য চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে আরও জানাগেল, ডাক্তার ৩/৪ পদের ঔষধ লিখলে কেবল ২/১ পদের ঔষধ দিয়ে ফার্মাসিস্ট রুহুল আমীন বলেন ঔষধের সাপ্লাই নেই।
এবিষয়ে ফারমাসিস্ট রুহুল আমীন বলেন, আমাকে দুইটা দায়িত্ব একসাথে পালন করতে হয়। ডাক্তারেরা ডাকলে, ওয়ার্ডে ঔষধ দিতে গেলে বা ছুটিতে থাকলে মাঝে মাঝে আমার পরিবর্তে দু’একজন ঔষধ দেয়। যে ঔষধের সাপ্লাই নাই তা আমি কোথা থেকে দিব।
এমএলএসএস বশির ও জুনিয়র মেকানিক মোস্তফা’র ঔষধ বিতরণ প্রশ্নে বলেন, আমি না থাকলে তাদের যদি পরিচিত কোন রুগী আসে তখন দু’একটা ঔষধ দেয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) ডা. মীর শহীদুল ইসলাম শাহীন বলেন, বিষয়টি অসত্য নয়। আমাদের দু’জন ফার্মাসিস্ট থাকলে এমন সমস্যা হত না।
তিনি আরও বলেন, কোন কোন ঔষধ সাপ্লাই নেই এ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আল ইমরান বলেন, কয়েকদিন পূর্বে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন কালে অনেক গড়মিল পরিলক্ষিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জনবল সংকটের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে।
##