দুর্নীতিবাজ সেই মাজেদুল সাড়ে দশ কোটি টাকা কাজের পার্টনার

নিজস্ব প্রতিবেদক  : দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী  প্রকৌশলী মাজেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে এবার জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরাদ্ধে জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চলের সাড়ে দশ কোটি টাকার কাজের পার্টনারের তথ্য উঠেছে।  তাকে ঘিরে বুধাবার (১২ মার্চ)  দুপুর ৩ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন জায়গায় আলোচনা সমালোচনা ঝড় বইছে।  তার বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়নের তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল।
জানা যায়,  ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চলে ২.১০ কিলোমিটার আরসিসি সারফেস ড্রেন নির্মাণ এবং ৪.৮ কিলোমিটার  সারফেস ড্রেনের কাজে ১০০৪০০১৫০ টাকা বরাদ্ধ করা হয়। সেই কাজটি গোপালগঞ্জের মিনারাপাড়া কবরস্থান রোড এলাকার মনির ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কন্ট্রাকশন লিমিটেড এর লাইসেন্স কাজ পেলেও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী  প্রকৌশলী মাজেদুল ইসলাম ও শহরের কয়েকজন ঠিকাদারের সাথে পার্ট হয়ে কাজটি তারা নিয়ে নেন। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতা থাকাকালীন সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এম্পি মির্জা আজমের আত্মীয় পরিচয়ে তিনি কোটি কোটি টাকার সরকারী কাজ গুলো বিভিন্ন লাইসেন্সের নামে বেনামে নিয়ে তিনি নিজেই কাজ করেন।  ২০১২ সালে উপ সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে তিনি যোগদান করে নালিতাবাড়ী উপজেলার পর মির্জা আজম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী হওয়ায় তিনি ২০১৬ সালে জোর তদবীর করে জামালপুর বদলী নিয়ে যোগদান করেন।  এরপর থেকেই তিনি শুরু করে ক্ষমতার দাপট।  ভুয়া বিল বাউচার, নানারকম দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও নিম্নমানের কাজের মধ্যদিয়ে প্রকল্পের শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি সমালোচিত হলে তড়ি ঘড়ি করে আবারো জোর তদবীর করিয়ে ২০১৮ সালে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করেন মাজেদুল ইসলাম।  এ ছাড়াও তিনি তার নিজ এলাকা মাদারগঞ্জ এবং জামালপুর শহরে শুশুড় বাড়ী চন্দ্রা এলাকায় দীর্ঘ সাড়ে আট বছরে সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে প্রায় শত কোটি টাকার সম্পদ ও কোটি কোটি টাকা নগদ অর্থ গড়ে তুলেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ঠিকাদার জানান,। টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, কমিশন বাণিজ্যসহ কাজ না করে সরকারি অর্থ তসরুপের বহু অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে রহস্যজনক কারনে আজ পর্যন্ত কোন তদন্ত কিংবা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি  । সে সব ফাইল আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে তিনি আটকে রেখেছিলেন। বর্তমানে বেশ খানিকটা ভীতির মধ্যে রয়েছে এই দূর্নীতিবাজ সহকারী প্রকৌশলী।  এ কারণে বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে সরকারি দপ্তরে আটকে থাকা ফাইল গুলো যাতে নতুন করে গতি না পায় সে জন্য তৎপরতা শুরু করেছে তিনি । আমাদের কাজ গুলো সম্পন্ন হলেও ৩ থেকে ৫% টাকা না নিয়ে বিলে স্বাক্ষর করে না।  তার টাকা না দিলে তিনি সাইডে নানা ভাবে হয়রানী করে যার কারনে আমরা দিতে বাধ্য হই । প্রতিবাদ করলে হয়রানী হতে হয়।
এদিকে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মাজেদুল ইসলাম জানান, আমি কোন কাজের পার্টনার না।
Exit mobile version