রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশের প্রতি যাদের ভালোবাসা আছে, দরদ আছে তারা কখনও দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন না। দেশপ্রেমিকরা দেশ ছেড়ে পালায় না। এক একজন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ১১ জন বিশিষ্ট নেতাকে আওয়ামী লীগ সরকার খুন করেছে। তারা বাংলাদেশ থেকে পালানোর চেষ্টা করেননি। আজ ৩০ ডিসেম্বর সোমবার সকাল ১০টায় দিনাজপুরের বীরগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে বীরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। ৫ আগস্ট বাংলাদেশের মানুষের জন্য মুক্তি এবং স্বাধীনতা এনে দিয়েছে জানিয়ে জামায়াত আমির বলেন, আগে মানুষ ভয়ে কথা বলতে পারত না। একটু টু কথা বললে মানুষের জীবনে বিভীষিকা নেমে আসত। এখন মানুষ কথা বলার স্বাধীনতা পেয়েছে। তিনি বলেন, যারা বিগত সময়ে দেশ শাসন করেছেন তারা জনগণের আমানত রক্ষা করেননি। তারা জনগণের আমানতকে নিজের পকেটে ভরিয়েছেন। তারা তছরুপ, চুরি, ডাকাতি, জনগণের টাকা লুটপাট করেছেন এবং সেই টাকা দেশের বাইরে তারা পাচার করেছেন। বিগত সাড়ে ১৫ বছরে ২৬ লক্ষ কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে বাইরে পাচার করা হয়েছে। যুগ যুগ ধরে আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে পর¯পরের পাশাপাশি আছি। কিন্তু মাঝে মধ্যে কেউ কেউ সাম্প্রদায়িক উসকানি দিয়ে বাংলাদেশের সৌন্দর্য নষ্ট করতে চায়। এখানে সংখ্যালঘু আর সংখ্যাগুরু বলে দেশটাকে দুই ভাগে ভাগ করে পর¯পরের মুখোমুখি করে দেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ১৭ বছর বয়স যাদের তাদের ভোটার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ১৫ বছর নির্যাতিত হয়ে আমরা রাজনীতি করেছি। স্বৈরাচার সরকারের আমরা পতন ঘটাতে পারিনি। কিন্তু কোমলমতি আমাদের ছেলে মেয়েরা আন্দোলন করে স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়েছে। তাদের নেতৃত্বে আমরা দাঁড়িয়েছিলাম। কিন্তু তারাই নেতৃত্বে ছিল। যারা জীবন দিয়ে এ স্বাধীনতা এনে দিতে পারে আমরা তাদের হাতে এ দেশ তুলে দিতে চাই। কারী মো. আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেত্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, মাওলানা আব্দুল হালিম, রংপুর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক অধ্যক্ষ মমতাজ উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য মো. আনোয়ারুল ইসলাম, দিনাজপুর জেলা জামায়াতের সাবেক আমির আলহাজ আফতাব উদ্দীন মোল্লা, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান, সেক্রেটারি মুহাদ্দিস ড. এনামুল হক প্রমুখ।