নাটকীয় ফলাফলে ম্যাচটি শেষ হলো ব্রাজিল-ইকুয়েডরের খেলা

ব্রাজিল-ইকুয়েডর ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়।

স্পোর্টস ডেস্ক : বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে আজ মাঠে নেমেছিল শক্তিশাল ব্রাজিল, প্রতিপক্ষ অপেক্ষকৃত দুর্বল ইকুয়েডর। তবে ফাউলের ছড়াছড়ি ছিল পুরো খেলাজুড়ে। দুই দলের খেলোয়াড়রা লাল কার্ড পেয়েছেন। এছাড়াও দাপট ছিল ‘ভিএআর’ এ সিদ্ধান্ত বদলেরও। আজ শুক্রবার বাংলাদেশ সময় ভোরে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় দুই হাজার ৮৫০ মিটার উঁচুতে ইকুয়েডরের রাজধানী কিটোয় ব্রাজিল-ইকুয়েডর ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়।

এদিকে ম্যাচের মাত্র ৬ মিনিটে গোল করে সেলেসাওদের এগিয়ে দেন ক্যাসেমিরো। পরে ম্যাচের ৭৫তম মিনিটে গিয়ে সমতা টানেন ইকুয়েডরের ফেলিক্স তোরেস। উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে মোট ৩২টি ফাউল করেছেন দুই দলের ফুটবলাররা। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই মোইজেজ কাইসেদোকে বাজে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন ব্রাজিলের এমারসন। এর রেশ যেন চলে পুরো ম্যাচজুড়ে।

যদিও ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন ক্যাসেমিরো। ফেলিপে কৌতিনিওর বলে হেড করেন ম্যাথিউস কুনহা। সেটা কোনোরকমে বাঁচান ইকুয়েডর গোলরক্ষক। বল পেয়ে ডান পায়ের আলতো টেকায় গোলবারের কাছ থেকে নেওয়া শটে গোল করেন ক্যাসেমিরো।

ম্যাচের ২০তম মিনিটে এমারসন ফাউল করেন আরও একটি। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। এটি হতে পারতো ইকুয়েডরের জন্য আশীর্বাদের। কিন্তু এর পাঁচ মিনিট আগেই লাল কার্ড পায় তারাও।

প্রতিপক্ষের দুই খেলোয়াড়ের চ্যালেঞ্জ সামলে এগিয়ে যান ব্রাজিলের কুনহা। পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে বল ক্লিয়ার করতে শট নেন আলেকসান্দের ডমিঙ্গেজ। কিন্তু তা পা বলে তো লাগেইনি উল্টো ডি-বক্সের মুখে ছুটে আসা প্রতিপক্ষের গলায় বুট দিয়ে আঘাত করে বসেন তিনি। ভিএআরের সাহায্যে তাকে লাল কার্ড দেখান রেফারি।

২৬তম মিনিটে ব্রাজিল পড়েছিল আরও বড় বিপদে। ৯ জনের দল হতে বসেছিল তারা। প্রতিপক্ষের পাল্টা আক্রমণ রুখতে ডি-বক্স থেকে বের হয়ে শট নেন এলিসন। কিন্তু একটু পরই তার পা লাগে এনের ভ্যালেন্সিয়ার মাথায়। লাল কার্ড দেখান রেফারি। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত বদলে যায় ভিএআরের সাহায্যে।

বিরতি থেকে ফিরে এসে ৭৫তম মিনিটে গোলের দেখা পায় ইকুয়েডর। নসালা প্লাতার কর্নারে হেডে গোলটি করেন ফেলিক্স তোরেস। ম্যাচের শেষদিকে আর কেউ উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায়নি। তবে নাটকীয়তা শেষ হয়নি তখনও। পাঁচ মিনিট যোগ করা অতিরিক্ত সময় টানতে হয় ১২ মিনিট পর্যন্ত।

যোগ করা সময়ে এসে ব্রাজিলের গোলরক্ষক বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের মিডফিল্ডার প্রেসিয়াদোর মুখে আঘাত করেন। এরপর তাকে লাল কার্ড দেখান রেফারি, ইকুয়েডরকে দেন পেনাল্টি। কিন্তু সিদ্ধান্ত দুটিই পরে বদলে গেছে।

Exit mobile version