নারী কাউন্সিলের ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আটক

তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোরে জনৈক নারী কাউন্সিলের ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় এক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে আটক করেছে জনতা। অতঃপর  স্থানীয়রা তাকে উত্তম-মাধ্যম দিয়ে সাড়ে ৭ লাখ টাকা দেনমোহরে কাউন্সিলর সঙ্গে তার বিবাহ দিয়েছেন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার  রাতে  তানোর পৌরসভার বেলপুকুরিয়া মহল্লায় এই ঘটনা ঘটেছে। এদিকে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে অফিস পাড়ায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড়, বইছে মুখরোচক নানা গুঞ্জন, পাশাপাশি জনমনে দেখা দিয়েছে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া।
জানা গেছে, তানোর উপজেলা কৃষি অফিসে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা  রায়হানুল ইসলাম (৪৫)।তিনি তানোর পৌরসভার সাবেক জনৈক নারী কাউন্সিলরের (৪৪) সঙে পরোকিয়া প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।এদিকে সম্পর্কের সুত্রে ওই কাউন্সিলরের সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন রায়হান।
জানা গেছে, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও জনৈক কাউন্সিলর দুজনেই বিবাহিত।
তাদের দুজনের পরিবারেই স্বামী-স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। প্রায় এক বছর যাবত তাদের এই পরোকিয়া সম্পর্ক চলে আসছে। প্রেমের টানে রায়হানুল ইসলাম মঙ্গলবার দিবাগত রাতে জনৈক নারী কাউন্সিলের স্বামীর বাড়িতে যান। এ সময় স্থানীয় জনতার সহায়তায় কাউন্সিলরের স্বামী, তাদের আপত্তিকর অবস্থায় আটক করেন বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
এদিকে স্থানীয়রা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রায়হানকে উত্তম-মাধ্যম দিয়ে কাজী ডেকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের বিবাহ দিয়েছেন। বর্তমানে নারী কাউন্সিলর স্বামীকে তালাক দিয়ে নতুন স্বামী উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রায়হানুল ইসলামের ভাড়া বাসায় উঠেছেন বলে একাধিক সুত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রায়হানুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী এই বিয়ে মেনে নিতে পারেনি। রায়হানের দ্বিতীয় স্ত্রী ওই কাউন্সিলর রায়হানের বাড়িতে উঠলে তাদের মধ্যে দফায় দফায় চুলোচুলির ঘটনা ঘটে। এসময় রায়হান বাধা দিতে গেলে প্রথম স্ত্রী ধারালো হাঁসুয়া নিয়ে তাকে ধাওয়া করে,এতে প্রায় দ্বিগম্বর হয়ে রায়হান ভৌঁ-দৌড়ে পালিয়ে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রায়হানুল ইসলামের বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলায়।তার পিতা মৃত জামিন উদ্দিন। তিনি চাকরির সুবাদে বেশ কয়েক বছর ধরে তানোরে স্ত্রী সন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন। আর জনৈক নারী কাউন্সিলর তার স্বামীর (সিএনজি চালক) বাড়িতে থাকেন। তার বাড়ি তানোর পৌরসভার বেলপুকুরিয়া মহল্লায়। উপজেলা কৃষি বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, রায়হানের অপকর্ম  পুরো কৃষি বিভাগের জন্য লজ্জার।আমরা তাকে চাকরিচ্যুত করার দাবিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহমেদের ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও রিসিভ হয়নি। পরে এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা  আলী রেজার মোবাইলে ফোন দেয়া হলে তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি, খোঁজ নিয়ে পরে বিস্তারিত জানাতে পারবো।#
Exit mobile version