নারী নির্যাতন, ধর্ষণ ও দুর্নীতির প্রতিকার কী? …..এম এ আলীম সরকার

ইসলাম ধর্ম, খ্রিষ্ট ধর্ম, ইহুদি ধর্ম, বৌদ্ধ ধর্ম,  হিন্দু ধর্ম এবং মানবতাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ইত্যাদি আদর্শ কোনোক্রমেই নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ ইত্যাদি কর্মকান্ডকে অনুমোদন করে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির আহ্বায়ক এম এ আলীম সরকার। ১৬ মার্চ রবিবার এক বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, সকল ধর্ম ও সকল আদর্শই এসব যারা ঘটায় তাদের কঠোর দণ্ডদানের নীতি ঘোষণা করে প্রাণদণ্ড ও প্রাণদণ্ড কার্যকর করার বিধান আছে। বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টা পরিষদের সকল সদস্যদের প্রতি আমাদের আবেদন যারা নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের মত দণ্ডনীয় কর্মকাণ্ড চালায় অত্যন্ত কঠোরভাবে তাদের প্রাণদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ব্যবস্থা করা হোক। ধর্ম ও আদর্শ সর্বজনীন কল্যাণের বিধি-বিধান দিয়ে থাকে। প্রতিটি রাষ্ট্রেই সরকারের কর্তব্য সর্বজনীন কল্যাণে তাদের কঠোর দমনে এবং কঠোর শাস্তির বিধান নির্দেশ দেয়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও বামপন্থী দলগুলো কেবল প্রতিবাদ জানিয়েই নিজেদের কর্তব্য পালন করে থাকে। আমরা আশা করি এ ব্যাপারে প্রচার, আন্দোলন ও অপরাধীদের কঠোর দণ্ডদানে কার্যকর চালানোর জন্য সরকার সক্রিয়  হওয়ার জন্য সচেষ্ট থাকবে। ধর্ম ও আদর্শের বিরুদ্ধে  বাংলাদেশে যে কর্মকাণ্ড চলছে, দুর্নীতি চলছে, তারই ধারাবাহিকতায় নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ ক্রমেই বাড়ছে, এর প্রতিকারের জন্য সর্বজনীন কল্যাণে সামাজিক আন্দোলন ও দারোগা, পুলিশ এবং আইন আদালতের কর্মতৎপরতা বৃদ্ধি করা। এব্যাপারে রাজনীতিবিদদের এবং বুদ্ধিজীবীদের কঠোর তৎপরতা প্রয়োজন রয়েছে। আমরা আইনের শাসন চাই, দণ্ডনীয় সব অপরাধের শাস্তির ব্যবস্থাকে কার্যকর করা হোক।

Exit mobile version