গনোরিয়া (Gonorrhea) হল নারী পুরুষের একটি যৌনবাহিত (Sexually transmitted disease – STD) রোগ। এই রোগটি নাইসেরিয়া গনোরিয়া (Neisseria gonorrhoeae) নামক এক প্রকার জীবাণু দ্বারা এই রোগ হয়ে থাকে। যৌনমিলনের মাধ্যমে এক ব্যক্তি থেকে আরেকজনের দেহে এই রোগের জীবাণু ছড়ায়। এটা যোনিপথ, মুখগহ্বর বা পায়ুপথ যে কোনো পথেই ছড়াতে পারে।
গনোরিয়ায় আক্রান্ত মহিলার সাথে একবার যৌনকর্ম করলে পুরুষলোকের এই রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা ২০%, তবে সমকামী পুরুষের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি আরও অনেক বেশি। আক্রান্ত পুরুষের সাথে একবার যৌনমিলনে একজন মহিলার এই রোগে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি প্রায় ৬০-৮০%। বাচ্চা জন্মদানের সময় গনোরিয়ায় আক্রান্ত মায়ের শরীর থেকে এই রোগের জীবাণু বাচ্চাকে আক্রান্ত করতে পারে। এটি যখন বাচ্চার চোখকে আক্রান্ত করে তখন তাকে অফথালমিয়া নিওন্যাটোরাম বা নিওন্যাটাল কনজাংটিভাইটিস বলে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে জীবাণু দ্বারা দূষিত বস্তুর মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। এই বস্তুগুলো হলো গোসল, কাপড়চোপড়, তোয়ালে প্রভৃতি। তবে এরকম ঘটনা খুবই বিরল।
#পুরুষের_ক্ষেত্রে (প্রাথমিক অবস্থায়)
#পুরুষের_ক্ষেত্রে (বিলম্বিত অবস্থায়)
#নারীদের_ক্ষেত্রে (প্রাথমিক অবস্থায়)
#নারীদের_ক্ষেত্রে (বিলম্বিত অবস্থায়)
রোগীর ইতিহাস শুনে রোগ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যেতে পারে। তবে ল্যাবরেটরী পরীক্ষা করেই কেবল রোগ নির্ণয় করা সম্ভব।
প্রতিরোধের একমাত্র উপায় হচ্ছে কেবল একজন সঙ্গিনীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক রাখা নিশ্চিতভাবে যার গনোরিয়া নেই। বহুগামিতা পরিত্যাগ ও সঠিক পদ্ধতিতে কনডম ব্যবহারের মাধ্যমে এই রোগ সম্পূর্ণরূপে প্রতিরোধ করা সম্ভব।
গনোরিয়া (Gonorrhea) রোগের উন্নত চিকিৎসা মূলত হোমিওপ্যাথি। তবে এর জন্য আপনাকে অবশ্যই এক্সপার্ট একজন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নেয়া জরুরী।
#যৌনরোগসহ যে কোন জটিল ও কঠিন রোগের সফল হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিতে আজই আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।।।