‘নিরাপত্তা নেই’, খবর পেয়েও ধানমন্ডিতে গেল না দমকল, ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্বলল হাসিনার সুধা সদন

বাংলাদেশের ধানমন্ডিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাড়ি ‘সুধা সদনে’ বুধবার রাতে আগুন ধরানো হয়েছিল। সকাল পর্যন্ত সেই ভবন জ্বলেছে। দমকল বিভাগ ওই বাড়িতে অগ্নিসংযোগের খবর পেয়েও আগুন নেভাতে যায়নি। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো জানিয়েছে, নিরাপত্তার অভাবে ধানমন্ডিতে যায়নি দমকল। ফলে সকালেও সুধা সদনে আগুন জ্বলতে দেখা গিয়েছে।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে বুধবার রাতে ভাঙচুর চালানো হয়। সকালেও ওই বাড়ি ভাঙার প্রক্রিয়া চলছে। ক্রেন এনে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ছ’তলা ভবন। বহু সাধারণ মানুষ সেই বাড়ি এবং মুজিবের স্মৃতিবিজড়িত জাদুঘর থেকে বইপত্র, ইট-কাঠ-পাথর তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। সকাল পর্যন্ত ধানমন্ডিতে এই ছবি দেখা গিয়েছে। বাংলাদেশের পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলারক্ষী বাহিনীর কাউকে ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি।
প্রথম আলোর তরফে বৃহস্পতিবার সকালে দমকল বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। দমকলের ঢাকা কন্ট্রোল রুমের মবিলাইজ়িং অফিসার খালেদা ইয়াসমিন বলেন, ‘‘সুধা সদনে আগুন লাগার খবর আমরা পাই রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ। কিন্তু আমাদের নিরাপত্তা ছিল না। ওখানে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি ছিল না। তাই আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি।’’

সুধা সদনের বাইরে ভিড় করেছেন অনেক উৎসুক সাধারণ মানুষ। দোতলায় এখনও আগুন জ্বলছে বলে দাবি। রাতে ওই বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হলে স্থানীয়েরা জল দিয়ে নীচের দিকে আগুন নেভান। কিন্তু পুরো বাড়ির আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি। বাড়ির দরজা-জানলা অধিকাংশ পুড়ে গিয়েছে। পুড়েছে বইপত্র, লেপ, তোশক, কম্বল। এ ছাড়া, ফ্রিজ, সোফা-সহ অন্য আসবাবপত্রও পুড়ে গিয়েছে।

বুধবার রাতে বাংলাদেশের মানুষের উদ্দেশে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ভাষণ দেবেন বলে জানান হাসিনা। আওয়ামী লীগ এবং ছাত্র লীগের তরফে তার প্রচার করা হলে হাসিনা-বিরোধীরা ক্ষুব্ধ হন। রাতেই তাঁরা ধানমন্ডিতে মুজিবের বাড়িতে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। হাসিনার ভাষণ শুরুর আগেই ক্রেন নিয়ে এসে বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হয়। সকালেও সেই কাজ চলেছে। বুধবার রাতে মুজিবের বাড়িতেও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল। সেখানেও দমকল যায়নি বলে দাবি।

Exit mobile version