নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বড় দু’দলের অনড় অবস্থান বিপজ্জনক

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বড় দুই দলের অনড় অবস্থান দেশের জন্য বিপজ্জনক বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ার) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম (ইএমএফ) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, বড় কোনো দল জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নিলে ফলাফল নিয়ে ঝুঁকি তৈরি হবে।

এ সময় সবাইকে নির্বাচনে আনতে সরকারি দলকে আরও দায়িত্বশীল হওয়ারও তাগিদ দেন সিইসি। তবে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে রাজনৈতিক সমঝোতা হতে পারে বলেও আশা করেন কাজী হাবিবুল আউয়াল।

পাশাপাশি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই আগামী কয়েকমাসে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা আশাকরি আগামী কয়েকমাসের মধ্যে একটা রাজনৈতিক সমঝোতা হবে। আসছে নির্বাচনে সব দলই অংশগ্রহণ করবে। আমাদের বিভিন্ন দল থেকে বলা হয়েছে যে, তারাও সমঝোতা হবে বলে বিশ্বাস করে। আমরাও আশাবাদী অবাধ নিরপেক্ষ উৎসবমুখর পরিবেশে ফলপ্রসূভাবে নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হবে।’

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে দুই দলের অনড় অবস্থান নিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি দেশের জন্য খুব বিপজ্জনক। যদি নির্বাচনে এই অনড় অবস্থার কারণে কোনো বড় দল না আসে তাহলে মূল ফলাফলের ওপর একটা ঝুঁকি থাকবে। কোনো দল ফল মেনে না নিলে এটা নিয়ে অরাজকতা তৈরি হতে পারে। আমরা চাই না ওই ধরনের কোনো পরিস্থিতি।’

ইএমএফ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘আসলে এটা ছিল অনেকটা অ্যাকাডেমিক আলোচনা। এখানে তারা আমাদের পরামর্শ দেন নাই। আমরাও পরামর্শ দিই নাই। আমরা গণতান্ত্রিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেছি। নির্বাচনে অর্থ ব্যয় গরীব মানুষের পক্ষে সম্ভব হয় না। এই অর্থ ব্যয়টাকে যদি লিমিট করে আরও গণতান্ত্রিক করা যেত। যেটা খুব কঠিন।’

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন-নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর, রাশেদা সুলতানা, আনিছুর রহমান এবং ইএমএফ সদস্য নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য তাজ মোহাম্মদ মিয়া, সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের (ভারত) বিশেষ প্রতিনিধি মিসেস স্বপ্না, ইএমএফ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবেদ আলী, ডুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

Exit mobile version