বায়েজিদ, পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) :
নেই পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র। নেই জেলা প্রশাসকের অনুমোদন। এই ভাবেই ইটভাটা আইন লংঘন করে পলাশবাড়ী উপজেলায় কৃষি জমি,জনবসতি ও প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘেষে গড়ে উঠেছে প্রায় ২০/২২ ইট ভাটা।
আবার এই ইটভাটায় গুলোতে কয়লার পরিবর্তে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। এতে করে বিষাক্ত হচ্ছে পরিবেশ, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। শ্বাসকষ্ট, হাঁপানিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ। এসব অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে দাবি জানিয়েছে স্থানীয় সচেতন জনসাধারণ।
এদিকে হাইকোট বিভাগ এসব অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিয়ে আগামী ১৭ মার্চ বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশনা দিলেও পলাশবাড়িতে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না সংশ্লিষ্ট বিভাগকে।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের দিগদারি মৌজায় কৃষি(বোরোধান ও ভূট্রা)জমি ঘেষে (এম.এল.বি) ব্রিকস নামের একটি অবৈধ ইটভাটা গড়ে উঠেছে। এই ইটভাটার বিষাক্ত ধোয়ায় পুড়ছে ওই এলাকার শত শত কৃষকের স্বপ্ন।
অপরদিকে,বরিশাল ইউনিয়নের পশ্চিম গোপিনাথপুর মৌজায় জনবসতি ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘেষে(এম.এম.বি) ব্রিকস নামের আরেকটি অবৈধ ইটভাটা গড়ে উঠেছে। ওই ইটভাটার বিষাক্ত ধোয়ার কারনে নানা বয়সি মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছে । সম্প্রতি এই ইটভাটায় জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের লোক দেখানো একটি অভিযান পরিচালিত হলেও বন্ধ হয়নি ওই ইটভাটা।
হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়নে দ্রুত সময়ের মধ্যে অবৈধ ইট ভাটাগুলো গুড়িয়ে দিতে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক,পরিবেশ অধিদপ্তর, ইউএনও ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি’র জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পলাশবাড়ী উপজেলা বাসী।