পলাশবাড়ী কারিগরি কলেজ মাঠে ধান চাষ

গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার পলাশবাড়ী কারিগরি কলেজ মাঠের জমি বন্ধক (মর্টগেজ) রাখার অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানের দাতা সদস্য জাকারিয়া মন্ডল সোহেলের বিরুদ্ধে। দেড় বিঘার বেশি জমি দুই লক্ষ টাকায় বন্ধক নিয়ে সেখানে বছরের পর বছর ধরে ধানচাষ করা হচ্ছে। জানা যায়, পলাশবাড়ী পৌরসভার আন্দুয়া গ্রামে এক একর জমির উপর ১৯৯৯ সালে স্থাপিত হয় পলাশবাড়ী কারিগরি কলেজটি। এরপর ২০০১ সালে তা এমপিওভুক্ত হয়। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী সংখ্যা ২ শতাধিক। বেতনভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছে ১৩ জন। কলেজের মাঠ হিসেবে ব্যবহৃত দেড় বিঘার বেশি জমি কয়েক বছর হলো বন্ধক রাখায় সেখানে চলছে ধান চাষ। বন্ধক নেওয়া চাষি আব্দুল বাকি মিয়া বলেন, গ্রামের মতলুবরের কাছে থেকে ২ লক্ষ টাকা দিয়ে জমিটি বন্ধক নিয়ে সাড়ে তিন বছর ধরে ধান চাষাবাদ করছি। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা দাতা সদস্য জাকারিয়া মন্ডল সোহেলের কাছ থেকে বন্ধক নেন জনৈক মতলুবর রহমান। পরে মতলুবরের কাছ থেকে আমি বন্ধক নিই। জাকারিয়া মন্ডল সোহেল বলেন, জমি বন্ধক রাখার কোনো ডুকুমেন্ট নেই। আমরা কলেজে জমি দিয়েছি এক একর। এরমধ্যে দেড় বিঘা জমির উপরে কলেজ রয়েছে। বাকি জমি এখনও আমাদের দখলে রয়েছে। এ জমিটুকু কলেজে এখনও হন্তান্তর করা হয়নি। বিধায় আমাদের মতো করে আমরা চাষাবাদ করছি। কলেজের প্রয়োজন হলে জমি হন্তান্তর করা হবে। কলেজের অধ্যক্ষ শামীমা সুলতানা বলেন, দেড় বিঘা জমির উপরে কলেজের অবকাঠামো থাকলেও পুরো এক একর জমি কলেজের দখলেই রয়েছে। কলেজের মাঠের জমিটি একটু নিচু হওয়ায় ধান চাষাবাদ হচ্ছে। মাঠে মাটি ভরাট করা প্রয়োজন। জমিটি বর্গা বা লিজ অথবা বন্ধক হিসেবে প্রদানের কোনো রেজুলেশন কলেজে নেই। উত্থাপিত অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পলাশবাড়ী কারিগরি কলেজের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান নয়ন বলেন, কলেজের মাঠের জমি বন্ধক বা লিজ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি অবগত হওয়ার পর কলেজ মাঠে সকল ধরনের চাষাবাদ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি। কলেজ মাঠে মাটি ভরাট করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

Exit mobile version