পল্লবীর বেপরোয়া ওসি পারভেজ ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়

ইতিপূর্বে তিনি ওসি হিসেবে ছিলেন রাজধানীর বাড্ডা থানায়।

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর পল্লবী থানার বর্তমান ওসি পারভেজ ইসলামের ওসি হিসেবে দ্বিতীয়
থানা পল্লবী। ইতিপূর্বে তিনি ওসি হিসেবে ছিলেন রাজধানীর বাড্ডা থানায়।
তিনি যে জায়গায় ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, সেখানেই চালিয়েছিলেন
বেপরোয়া কর্মকান্ড। কিন্তু, কোন এক অজানা কারণে তার বিরুদ্ধে কোন
ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাকে বার বার পুরুস্কিত করা হয়েছে!

দিনে ওসির বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস, রাতে গ্রেফতার সাংবাদিক

https://donetbd.com/%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%93%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87-%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A7%81/
অসংখ্য সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। এরপর ওসি পারভেজকে বাড্ডার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
থানা পল্লবীতে ওসি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পল্লবীর ওসি হয়েই আরো
বেপরোয়া হয়ে উঠেন ওসি পারভেজ। এই সময় কোটি কোটি টাকা ঘুষ বাণিজ্যসহ জায়গা
দখল, মিথ্যা মামলাসহ অসংখ্য অভিযোগ জমা হয় ওসি পারভেজ ইসলামের বিরুদ্ধে।
কিন্তু, কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করাতে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেন পল্লবীর
বর্তমান ওসি। এই সময় সাংবাদিকরা ওসি’র বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করার কারণে
সাংবাদিকদের উপর ক্রুদ্ধ হয়ে একের পর এক সাংবাদিকদের মিথ্যা মামলা দিয়ে
হয়রাণী করতেও ছাড়েননি। ওসির পারভেজ ইসলামের বিরুদ্ধে জাতীয় প্রেস ক্লাবসহ
বিভিন্ন স্থানে ওসি কর্তৃক ভূক্তভূগীরা বিভিন্ন সময় অসংখ্য মানববন্ধন
করেন। তবুও, পল্লবী থানায় দূর্দন্ত প্রতাপ নিয়ে শাসন করে যাচ্ছেন পারভেজ
ইসলাম।
শুধুমাত্র রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকায় ওসি পারভেজ ইসলামের বিরুদ্ধে একের
পর এক অভিযোগ জমা হচ্ছে। কিন্তু, ব্যবস্থাগ্রহণের নজীর নেই। বরং, যারা
অভিযোগ দিচ্ছে, তাদেরকে এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের বিভিন্নভাবে হয়রানী
করা হচ্ছে। এমন কি সংবাদ প্রকাশ করা বা সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়েও পুলিশী
হয়রানীর শিকার হচ্ছে সাংবাদিকরা পর্যন্ত। কিন্তু, পুলিশের পক্ষ থেকে
দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায় নি।
চলতি বছর নভেম্বরের ১১ তারিখে সাপ্তাহিক নতুন বার্তা’র সম্পাদক ইউসুফ
আহমেদ (তুহিন) আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার ও ১২ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও
জননিরাপত্তা সচিব বরাবর তথ্য প্রমাণসহ পল্লবী থানার ওসি’র বিরুদ্ধে
অভিযোগ দেয়। সেখানে বলা হয়, গত ১৬ অক্টোবর অসংখ্য মানুষের অভিযোগের
প্রেক্ষিতে পল্লবী থানার এসআই কাউসার মাহমুদ ও এসআই জিতুসহ কর্ণফুলী
মাল্টিপারপাস সোসাইটির কার্য্যালয়ে যাই। সেখানে সকলে জানায়, পুলিশের
হুমকী দিয়ে তাদের মারধর করে। পুলিশে অভিযোগ দিলেও মামলা নেয় না। টাকা
চাইতে গেলেই মারধরের শিকার হয়।

পল্লবী থানার নরপশু ওসি পারভেজ ইসলাম ও এসআই জহিরের গ্রেফতারের দাবীতে মানব বন্ধনhttps://deshersangbad.com/%e0%a6%aa%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%ac%e0%a7%80-%e0%a6%a5%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%a8%e0%a6%b0%e0%a6%aa%e0%a6%b6%e0%a7%81-%e0%a6%93%e0%a6%b8%e0%a6%bf-%e0%a6%aa%e0%a6%be/

এই সময় এসআই কাউসার কর্ণফুলীর পিডি শাকিলকে থানায় যেতে বললে, শাকিল
জানায়, আপনার কথায় কি থানায় যাব? ওসির সাথে কথা বলেন। এই বলে ওসিকে কল
করে মোবাইলে ধরিয়ে দেয়। ওসির কল লিষ্ট চেক করলেই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া
যাবে। এরপর ওসি নানা ভাবে আমাকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে। আমি অস্বীকৃতি
জানিয়ে জানাই, আমার বাবা আমার জন্য যে সম্পত্তি রেখে গেছে, তাতে আমি চলে
যেতে পারব। আমার অবৈধ টাকার দরকার নেই।
পরবর্তীতে ওসি’র পরামর্শে কর্ণফুলী’র পিডি আমার বিরুদ্ধে জিডি করে।
কিন্তু, পুলিশের উপস্থিতিতে যদি আমি ওদের কাছে চাঁদা চেয়ে থাকি তাহলে
পুলিশ কেন ব্যবস্থা নিল না? সেখানে তো দুইজন এসআই উপস্থিত ছিল। পরবর্তীতে
বাংলানিউজ, ইন্ডিপেনডেন্ট টিভিসহ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে
র‌্যাব-৪ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে কর্ণফুলীর প্রতারকদের। যা দেশের সকল
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। শুনা যায়, প্রতি মাসে কর্ণফুলী কর্তৃপক্ষ
তাদের অবৈধ ব্যবসা পরিচালনার জন্য ওসিকে ১ লাখ টাকা করে দিত। সেই টাকা
বন্ধ হয়ে যাওয়াতে ক্রুদ্ধ হয় আমাদের উপর। বাংলানিউজের ইফতি, আমাকেসহ ৪
সাংবাদিকের উপর ক্রুদ্ধ হয়ে তাই মামলা রেকর্ড করে।
অভিযোগে আরো জানানো হয়, পল্লবী থানার ওসি’র প্রত্যক্ষ মদদে পল্লবীর
পলাশনগরে প্রতিনিয়ত হচ্ছে দখল ও পাল্টা দখল। যা থেকে ওসি আয় করছে বড়
অংকের টাকা। এমনই এক পুলিশী দখল অভিযানের মাঝে গিয়ে পিস্তলের আঘাতে কপালে
বড় রকমের ক্ষত হয়। পরবর্তীতে হসপিটালে চিকিৎসা নিয়ে এসে মামলা করতে
চাইলেও মামলা নেয়নি পুলিশ। এতে ক্রুদ্ধ সাংবাদিকরা পুলিশের বিরুদ্ধে
মানববন্ধন করলে, হামলার শিকার ৪ সাংবাদিককে আসামী করে একটি চাঁদাবাজীর
মামলা দেওয়া হয়।
মামলার ঘটনার সময় ২৩ অক্টোবর উল্লেখ করে। যদিও, ২৩ অক্টোবর কোন সংবাদিক
সেই এলাকায় যায়ই নেই। ২৮ অক্টোবরের আগে তারা সেই এলাকাই চিনত না। মোবাইল
লোকাশেন দেখলেই তা প্রমাণ হবে। এছাড়া, মামলার বাকী আসামীদেরও সাংবাদিকরা
চিনে না। পুরোটা পুলিশের সাজানো মামলা দেখলেই বুঝা যায়। এছাড়াও,
সাংবাদিকরা তাদের মোবাইলের আইএমি নাম্বার, মোবাইল ক্রয়ের রিসিটসহ মামলা
করলেও, মোবাইল উদ্ধার তো করেই নেই, বরং, মামলায় উল্লেখিত পিস্তাল উদ্ধার
করেনি। অবৈধ অস্ত্রের ধারা দেয়নি। এমন কি হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণের কথা
মামলায় লেখা থাকলেও, সেই ধারাও দেয় নি। ইউসুফ আহমেদ তার অভিযোগে এছাড়াও
ওসি কর্তুক সংগঠিত নানা অপরাধের বিবরণ দেয়। স্বাক্ষি হিসেবে থানার
সিসিটিভি ক্যামেরাকে উল্লেখ করেন।
এই অভিযোগের পর কোন দৃশ্যমান ব্যবস্থা পুলিশ কর্তৃপক্ষ না নেওয়ার কারণে
ইউসুফ আহমেদ ফেইসবুকে ২১ ডিসেম্বর ষ্ট্যাটাস দেন। ষ্ট্যাটাসে তিনি লেখেন,
পল্লবী থানার ওসি পারভেজ ইসলামের সীমাহীন অপকর্ম ও কোটি কোটি টাকা ঘুষ
বাণিজ্যের বিরুদ্ধে কর্মসূচি গ্রহণ প্রসঙ্গে-
‘পল্লবী থানার বর্তমান ওসি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে পল্লবী থানা যেন
অনিয়ম, দুর্নীতি, মাদক বাণিজ্য, দখলপাল্টা দখলের থানায় রূপ নিয়েছে। ওসির
বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি, ডিএমপি কমিশনারসহ বিভিন্ন দপ্তরে
অসংখ্য অভিযোগ জমা হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। কোটি কোটি টাকা ঘুষ
গ্রহণের অভিযোগ দেওয়া হয়েছে ওসির বিরুদ্ধে। সেইসঙ্গে রয়েছে হেফাজতে
নির্যাতনের মতো ভয়াবহ সব অভিযোগ। সর্বশেষ ২০ ডিসেম্বর যুক্ত হলো থানা
থেকে আসামি উধাও হওয়ার ঘটনা। পুলিশের সহযোগীতা ছাড়া কীভাবে একজন ডাকাতি
মামলার আসামি হ্যান্ডকাফ খুলে চলে যেতে পারে? ইতোপূর্বে হ্যান্ডকাফসহ
পালিয়েছিল পারভেজ নামে এক মাদক মামলার আসামি। মাদক মামলার আসামি পারভেজ
আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে, পুলিশ কিন্তু তাকে গ্রেফতার করেনি।
এদিকে, হ্যান্ডকাফসহ যে পারভেজ পালিয়েছে তাকে না ধরে অন্য এক নিরীহ কাপড়
ব্যবসায়ী পারভেজের বাসায় ওসির নেতৃত্বে ১০ লাখ টাকা ডাকাতির অভিযোগও
দেওয়া হয়েছে।
‘এতো অন্যায় করার পরও ওসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে এমন সাহস বোধহয় পুলিশ
বিভাগে কারো নেই। আমরা নিরীহ মানুষ জিম্মি পল্লবী থানার একজন ওসির কাছে।
বাধ্য হয়ে পুলিশ কমিশনার বরাবর আবেদন করবো আমরা। পল্লবীবাসী ওসির প্রতি
কনিষ্ঠা আঙুল প্রদর্শন করে অনাস্থা জানাবে প্রেস ক্লাবের সামনে।
পরবর্তীতে ওসির বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষরসহ একটি প্রতিনিধি দল ডিএমপি
কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমাদের অনাস্থাপত্র হস্তান্তর করব। এরপরও
কাজ না হলে আরও কর্মসূচি নিতে হবে। প্রয়োজনে আত্মহত্যার অনুমতি চেয়ে
রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করা হবে। যেহেতু
এই ওসি পল্লবীতে থাকলে সম্মান নিয়ে বাঁচতে পারবো না, তার চেয়ে মরে যাওয়ার
অনুমতি চাইবো। যেহেতু অতীতে কোনো আইন ভঙ্গ করিনি, সেহেতু আত্মহত্যার মতো
একটি আইন ভঙ্গ করার কাজ করতে হলে অনুমতি আবশ্যক। তবে আত্মহত্যার অনুমতি
যদি রাষ্ট্র দেয় সেক্ষেত্রে ওসির কারণে জীবন দিতে হবে। সেই ওসির
কুশপুত্তলিকাকে জুতা মারা কর্মসূচি এবং পরবর্তীতে কুশপুত্তলিকা পোড়ানো
কর্মসূচিও পালন করার চেষ্টা করব।’
ষ্ট্যাটাস দেওয়ার পর ওসি রাতেই ইউসুফ আহমেদ তুহিনকে গ্রেফতার করে
চাঁদাবাজী মামলায়। যে মামলার বাদী করা হয়, র‌্যাব-৪ কর্তৃক গ্রেফতারকৃত
প্রতারক প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী মাল্টিপারপাস সোসাইটির কথিত ম্যানাজারকে। যে
ম্যানাজারের সাথে তুহিনের জীবনে দেখা পর্যন্ত হয়নি। এরপর পুলিশ রিমান্ডে
নেয় তুহিনকে। পরবর্তীতে ডোপটেষ্ট করান হয় তুহিনকে। যদিও চাঁদাবাজীর
মামলার সাথে ডোপটেষ্টের কোন সম্পর্ক নেই। পুলিশ রিমান্ডে তুহিন পুলিশের
দেওয়া কোন খাদ্য গ্রহণ করেনি। ফলে, রাজারবাগ পুলিশ হসপিটালে ডোপটেষ্ট
করালেও, রেজাল্ট আসে নেগেটিভ। তুহিন জীবনে কোন মাদবদ্রব্য স্পর্শ না করার
পরও, আদালতে ডোপটেষ্ট এর আবেদন করেই বলে, তুহিন মাদকশক্ত। পরবর্তীতে যদিও
তাদের দাবী মিথ্যা প্রমাণ হয়েছে, কিন্তু, পুলিশ হয়রানী থেকে মুক্তি পায়নি
তুহিন।
তুহিনের মুক্তির দাবীতে অসংখ্য মানববন্ধন হওয়ার পর তুহিনকে আদালত জাবিন দেয়।
শুধু তুহিনই নয়, গত ৫ জানুয়ারী জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পল্লবী থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম নিজে ও তার নির্দেশে প্রতিনিয়ত
পল্লবী থানা এলাকায় বসবাসরত সাধারণ মানুষকে টাকার জন্য মিথ্যা মামলা,
হামলা ও বাড়ীঘর লুটপাটের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী ও প্রতিবাদ
সমাবেশের আয়োজন করেছে রাজধানীর পল্লবীতে বসবাসরত ভূক্তভূগী পরিবার সমূহ।
মানবন্ধনে ওসি কর্তৃক বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন ও নিপিড়নের শিকার ভূক্তভূগী
পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এই সময় আবেগঘন কন্ঠে ওসি পারভেজ ইসলাম কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে নির্যাতনের
শিকার ব্যক্তিরা তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এই সময় পল্লবী থানার
বর্তমান ওসি পারভেজ ইসলামকে তারা মানুষরূপী হায়েনার সাথে তুলনা করেন।
তারা বলেন, এই হায়েনা যতদিন পল্লবী এলাকায় থাকবে পল্লবীর একজন ব্যক্তিও
নিরাপদে বসবাস করতে পারবে না। তাকে তার দাবীকৃত নির্দিষ্ট অংকের টাকা না
দিলেই মিথ্যা মামলা. হামলা ও ডাকাতির শিকার হতে হবে। তাকে টাকা না দিলেই
হিরোইন মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণ করেন। পল্লবী থানায়ই বর্তমানে যেন
হিরোইনের মেলা হয়ে উঠেছে। এতো এতো অপকর্ম করলেও তার বিরুদ্ধে পুলিশের কেউ
কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ইতিমধ্যে পারভেজ ইসলামের বিরুদ্ধে
প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি ও পুলিশ কমিশনার বরাবর অসংখ্য
অভিযোগ জমা দেওয়া হলেও, তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ হচ্ছেনা। এমন কি
যারা অভিযোগ দিচ্ছেন, তাদের নানাভাবে হয়রাণী ও নির্যাতন করা হচ্ছে। ওসি
পারভেজ ইসলাম গর্ব করে বলেন, কৃষ্ণপদ স্যার থাকতে আমার কিছু করার ক্ষমতা
বাংলাদেশের কারো নেই।
মানববন্ধনে অংশ নেওয় অন্য ভূক্তভূগীরা আরও বলেন, আজ আমরা যারা মানবন্ধনে
অংশ নিয়েছি, সবার ছবি দেখে দেখে হিরোইনসহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে
আমাদের আটক করবে। তারপর চালাবে সীমাহীন নির্যাতন। কিন্তু, আমরা তো এই
ওসি’র কারণে সব হারিয়েছি। আমাদের এখন হয় মেরে ফেলা হোক নয়তো এই ওসি’র হাত
থেকে মুক্তি দেওয়া হোক।
একই সাথে মানববন্ধনে বক্তারা ওসি পারভেজ ইসলামের প্রত্যাহার ও গ্রেফতারের
দাবী জানান। এছাড়া ভূক্তভূগী মোঃ পারভেজ ওসি ছাড়াও এসআই জহিরের শাস্তি ও
গ্রেফতার দাবী করেন।
এছাড়াও গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে সায়মা খাতুন নামে এক নারী ডিএমপি
কমিশনার বরাবর ওসি পারভেজ ইসলামের বিরুদ্ধে ৯০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের
অভিযোগ জমা দেন। সেখানে টাকার জন্য সায়মা খাতুনের পরিবারের উপর দেওয়া
বিভিন্ন মিথ্যা মামলা ও নির্যাতনের অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগে কোন
ব্যবস্থাগ্রহণ করা না হলে নভেম্বরের ২ তারিখ আইজিপি বরাবর শ্লীলতাহানী,
জোর পূর্বক টাকা আদায়ের অভিযোগ করেন। অভিযোগে ওসি পারভেজ ইসলামকে
বর্ণবাদী ওসি হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, বিহারী দেখে তাদের উপর ওসি এমন
নির্যাতন চালাচ্ছে।
খালেক নামে এক ব্যক্তি পল্লবী থানার বিরুদ্ধে তাকে ও তার শ্যালককে আটক
করে জায়গা দখলের অভিযোগ করেছেন মিরপুর বিভাগের উপ কমিশনার বরাবর।
অভিযোগের পরও তার জায়গা পুলিশের উপস্থিতিতে দখল কার্য্যক্রম অব্যাহত ছিল
বলে জানা যায়।
ওসি পারভেজ ইসলাম শুধু নির্যাতন নিপিড়ন করেই ক্ষেন্ত থাকেন। তার নিজের
দায়িত্বটুকু তিনি পালনে বরাবরই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। পুলিশ হেফাজত
থেকে আসামী পালিয়ে যাওয়া এক্ষেত্রে বড় উদাহরণ।
পল্লবীর ওসি পারভেজ ইসলামের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা না গ্রহণ করা
প্রসঙ্গে সোসাইটি ফর এ্যানফোর্সমেন্ট অফ বেসিক রাইটস এর মহাসচিব হেমায়েত
হোসেন বলেন, পল্লবী থানার বর্তমান ওসি’র বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই।
পুলিশ বাহিনীর উচিত অতিসত্তর ওসি’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে নজীর
স্থাপন করা। নয়তো ব্যক্তির দায় বাহিনী নিবে না, এটি শুধু কথার কথা হিসেবে
থাকবে।
এই বিষয়ে ডিএমপি’র ডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ ফারুক হোসেন জানান, বাহিনী
হিসেবে ব্যক্তির কোন দায় পুলিশ নিবে না। অভিযোগের বিষয়গুলো গুরুত্বের
সাথে দেখা হবে।

Exit mobile version