পল্লীশ্রীর আইন সহায়তা সমন্বয় সভায় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সরকার বিনামূল্যে যে আইনী সেবা প্রদান করছে তা সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশনের সদস্যদের প্রচার করতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দিনাজপুরের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জুলফিকার উল্লাহ বলেছেন, শিক্ষার মাধ্যমে নিজেদেরকে স্বনির্ভর করতে পারলে তাদের অর্থনৈতিক মুক্তি আসবে। সমাজে সহিংসতা প্রতিরোধে যাদের যথেষ্ট ভূমিকা রাখার কথা ছিলো তারাই পিছিয়ে রয়েছে। সরকারি খরচে ও বিনামূল্যে জেলা লিগ্যাল এইড অফিস যে সেবা দিয়ে আসছে তাদের সাথে পল্লীশ্রী কর্তৃক সিএমও’র সমন্বয় করতে পারলে অস্বচ্ছল, অসহায় ও পিছিয়ে পড়া সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠী আইনী সহায়তা ভোগ করতে পারবে। সরকার বিনামূল্যে যে আইনী সেবা প্রদান করছে তা সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশনের সদস্যদের সাধারন মানুষের মাঝে প্রচার করতে হবে।
দিনাজপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দ্বিতীয় তলার সম্মেলন কক্ষে বেসরকরি উন্নয়ন সংস্থা পল্লীশ্রী বালুবাড়ী, দিনাজপুরের বাস্তবায়নে এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন-ঢাকা’র সহযোগিতায় ইসিএমএপি প্রকল্পের সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন এর সদস্যদের নিয়ে জেলা পর্যায়ে লিগ্যাল এইড প্রশাসনের সাথে আইনগত সহায়তা বিষয়ক সমন্বয় সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন। পল্লীশ্রীর নির্বাহী পরিচালক শামিম আরা বেগম এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সিনিয়র সহকারী জজ মোঃ মোশাররফ হোসেন বলেন, আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল, দরিদ্র অথবা অসহায়, মামলা চালাতে অক্ষম কোন ব্যক্তি এবং বিনা খরচে আইনী পরামর্শ চান, সরকারি খরচে আইনজীবী চান অথবা আপোষযোগ্য বিরোধ মামলা মিমাংসা করতে হলে জেলা লিগ্যাল এইড অফিস সরকারি আইনী সেবা প্রদান করছে। প্রকল্পের উদ্দেশ্য ও চলমান কার্যক্রম তুলে বক্তব্য রাখেন প্রজেক্টের ফোকাল পার্সন শামিমা বেগম পপি। চলমান কার্যক্রমের উপর মুক্ত আলোচনা করেন উপকারভোগী মোছাঃ আয়শা আক্তার, দিপা রানী রায়, পল্লীশ্রীর লিগ্যাল এ্যাডভাইজার এ্যাডঃ আতাউর রহমান আতা ও জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের প্যানেল আইনজীবী এ্যাডঃ খুরশিদা পারভীন জলি। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন প্রকেক্ট কো-অর্ডিনেটর রওনক আরা হক নিপা। সভাপতির বক্তব্যে পল্লীশ্রী’র নির্বাহী পরিচালক শামীম আরা বেগম বলেন, এই প্রকল্প দিনাজপুর সদর উপজেলার দিনাজপুর পৌরসভা, ১নং চেহেলগাজী ইউনিয়ন, ৩নং ফাজিলপুর ইউনিয়ন ও ৪নং শেখপুরা ইউনিয়নে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। নারীরা দেশের অনেক উচ্চ স্থানে থাকার পরও বিভিন্ন কারণে আজও তারা অবহেলিত ও বঞ্চিত। আমরা মনে করি এ থেকে পরিত্রাণ পেতে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন খুবই প্রয়োজন।

 

 

Exit mobile version