পুলিশ/ অহংকারমুক্ত অন্যরকম এক পুলিশ
ছবির ভদ্রলোক একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্কুলে পড়া অবস্হায় যোগ দিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধে। মাথায় গামছা, কাঁধে নিজের প্লটে ফলানো কলা ও শাক-সবজির বস্তা। খিলক্ষেতে ৩০০ ফুট মহাসড়কের পাশে পুলিশ অফিসার্স হাউজিং সোসাইটিতে বরাদ্দপ্রাপ্ত নিজের প্লটে ফলিয়েছেন কলা, পেপে, পেয়ারা ও শাক-সবজি। সব কিছু করেছেন নিজের শ্রমে।
এক সময় রাঙামাটির পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরে ডিআইজি পদ থেকে অবসর নিয়েছেন। রাঙামাটি পুলিশ লাইনের জন্য অধিগ্রহণকৃত প্রায় বেদখল হয়ে যাওয়া কয়েকটি টিলাকে উদ্ধার করে সেখানে রোপন করেছিলেন কয়েক হাজার আম-কাঠাল-লিচুর চারা। শাইখ সিরাজের ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’ অনুষ্ঠানে তাঁর ফলদ বৃক্ষে সমৃদ্ধ রাঙামাটির ‘সুখী নীলগঞ্জ’ পুলিশ লাইন দেখানো হয়েছিল। বাগান সৃজনের সময় টিলায় মাচা ঘর তৈরি করে ফোর্সের সঙ্গে থেকেছেন দিনের পর দিন। কোদাল দিয়ে নিজ হাতে মাটি কুপিয়েছেন,পাহাড়ি দাও দিয়ে পরিস্কার করেছেন ঝোপঝাড়।তিনি বরাবরই এমন নিজের কাজ নিজে করতে পছন্দ করেন এবং সবসময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে এবং অফিস আবাসস্হল পরিচ্ছন্ন রাখতে । উনার বাড়ি কুমিল্লার, দেবিদ্বার থানায়।