পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমল ৩০ টাকা

ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই পাল্টাতে শুরু করেছে দৃশ্যপট। ২৪ ঘণ্টা না যেতেই দেশের বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজের বাজারে ব্যাপক দরপতন হয়েছে।

মূলত চাহিদার চেয়ে অন্তত ৮ লাখ টন বেশি উৎপাদনের পরও সরবরাহ সংকটে অস্থির হয়ে ওঠে দেশের পেঁয়াজের বাজার। বেশ কিছুদিন ধরে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে ঝাঁঝ বাড়িয়ে তোলে অসাধু সিন্ডিকেট। কিছুতেই বাজার লাগাম টানা যাচ্ছিল না, পেঁয়াজের কেজি যখন সেঞ্চুরিতে ঠেকেছে ঠিক সেই মুহূর্তে গত রোববার আমদানির সিদ্ধান্তের কথা জানায় কৃষি মন্ত্রণালয়। ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভুতুড়ে দামের আছর পড়েছে বাজারে। পাইকারি বাজারে কেজিতে ৩০ টাকা এবং খুচরায় ১৫-২০ টাকা দাম কমেছে।

কৃষি মন্ত্রণালয় ২১০টি আমদানির অনুমতি বা আইপি অনুমোদন করেছে, যার মাধ্যমে আসবে ২ লাখ ৮০ হাজার ৮০০ টন পেঁয়াজ। ৮১ দিন আমদানি বন্ধ থাকার পর গতকাল সোমবার থেকেই বেনাপোল, হিলি, ভোমরা স্থল বন্দর দিয়ে ট্রাকে ট্রাকে পেঁয়াজ ঢোকাও শুরু হয়েছে।

মূলত পেঁয়াজের দর রোজার ঈদের পর থেকেই বাড়তে শুরু করেছিল। এক মাসের ব্যবধানে তা ৩০ টাকা থেকে ৮০ টাকায় উঠে যায়। গত কয়েকদিন ধরে ১০০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছিল।

কৃষকদের স্বার্থ রক্ষার কথা বলে এতদিন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি কৃষি মন্ত্রণালয় না দিলেও পরিস্থিতি দেখে রোববার সায় দেয়। তার প্রভাবই পড়তে শুরু করেছে পাইকারি বাজারে। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, সিন্ডিকেট চক্রই দাম বাড়িয়েছিল। এখন আমদানির খবরে তারাই কম দামে পেঁয়াজ ছেড়ে দিচ্ছে।

মঙ্গলবার (০৬ জুন) সকালে টঙ্গী বাজারের এক পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বলেন, সোমবারই পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৩০ টাকা করে কমে গেছে। প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ। এছাড়াও দেশের অন্যতম বড় পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জেও পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে।

প্রসঙ্গত, পেঁয়াজ উৎপাদন করে কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য কৃষকের স্বার্থ সুরক্ষায় বিগত ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বন্ধ রাখে কৃষি মন্ত্রণালয়।

Exit mobile version