প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ৩২০

৩০০-৩২০ টাকা। কালো ধরনের (একটু নিম্নমানের) কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা কেজিতে। একদিন আগেও এই মানের কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকায়।

প্রতিদিনই বাড়ছে কাঁচামরিচের দাম। দামের কথা শুনে খুচরা বাজারের ক্রেতাদের চোখ কপালে। যাদের খুব বেশি প্রয়োজন তারা কিনছেন, কিন্তু পরিমাণে অল্প। যাদের প্রয়োজন কম, তারা খালি হাতেই ফিরে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সেই পুরোনো বক্তব্য- ‘পাইকারি বাজারে দাম বেশি’।

রাজধানীর বেশ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আজ ভালো মানের এক কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩২০ টাকা। কালো ধরনের (একটু নিম্নমানের) কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা কেজিতে। একদিন আগেও এই মানের কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকায়।

কাঁচামরিচের পাইকারি দাম জানতে কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, বাজারে ভালো মানের কাঁচামরিচের পাল্লা বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকায়। এই মরিচ গতকাল বিক্রি হয়েছিল ৯৪০ টাকায়। অর্থাৎ একদিনের ব্যবধানে পাল্লা প্রতি দাম বেড়েছে ২৬০ টাকা।

অন্যদিকে কালো জাতের কাঁচামরিচ আজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকা পাল্লা। এই মরিচ আগের দিন বিক্রি হয়েছিল ৮৮০ টাকা পাল্লায়। অর্থাৎ পাইকারি বাজারে পাল্লা প্রতি দাম বেড়েছে ২২০ টাকা।

দামবৃদ্ধির বিষয়ে আড়ৎদাররা বলছেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় পরিবহন খরচ বেড়েছে। একইসঙ্গে মহরমের ছুটির কারণে মরিচ আমদানি কমেছে। এই কারণে দাম আরেক দফা বেড়েছে।

পূর্ব বাড্ডা পাঁচতলা বাজার থেকে ২৫০ গ্রাম কাঁচামরিচ কিনেছেন আজিজুল ইসলাম। দাম নিয়েছে ৮০ টাকা। জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুদিন আগে মরিচ কিনতে এসেছিলাম। দাম বেশি শুনে ওইদিন চলে যাই। আজ স্ত্রীর কথায় আবার মরিচ কিনতে আসলাম। দোকানদার বলল, কেজি ৩৫০ টাকা। উপায় না পেয়ে এক পোয়া কিনেছি।

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, জীবনে মরিচের এত দাম দেখিনি। এত দামে মরিচও কিনিনি।

দোকানদার মনির হোসেন বলেন, ৯২০ টাকার মরিচ পাইকারি বাজার থেকে আজ ১২৫০ টাকায় কিনেছি। যাতায়াত ভাড়াসহ ১৩০০ টাকা পড়েছে। তাই এক পোয়া মরিচ বিক্রি করছি ৮০ টাকায়। গতকাল এই মরিচ ৬০ টাকা বিক্রি করেছিলাম।

দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আড়ৎদাররা বলল ভারত থেকে গতকাল মাল আসেনি। বাজারে মরিচ কম। সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে।

একই বাজারের ব্যবসায়ী রাশেদুল ইসলাম বলেন, আজ মরিচের বাজার চড়া। মাল শট তাই দাম বেশি। এক বস্তার জায়গায় এক পাল্লা এনেছি।

মহাখালী ওয়ারল্যাস গেট বাজারের ব্যবসায়ী খুরশিদ আলম বলেন, রাতে যারা মরিচ এনেছে তারা ধরা খেয়েছে। আমি সকালে এনেছি কিছু কম পেয়েছি। যারা গতকাল রাতে কারওয়ান বাজার থেকে মাল (মরিচ) এনেছে, তারা ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা পাল্লা কিনেছেন। কিন্তু যারা আজ সকালে কিনেছে তারা ১১০০ টাকায় পেয়েছে।

Exit mobile version