প্রেমের মুল্য ৬০, মাফ ১০,আদায় ৫০, বোর্ড খরচ ১০,আত্মসাৎ,২০ হাজার !

তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোরে মিথ্যা পরিচয়ে এক স্কুল ছাত্রীর সঙ্গে প্রেম করার অপরাধে অভিযুক্ত যুবকের ৬০ হাজার জরিমানা করে ৫০ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে বলে গুঞ্জন উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, তানোরের কলমা ইউনিয়নের (ইউপি) কেওয়াপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। এখবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড়,বইছে মুখরুচোক নানা গুঞ্জন, প্রতিনিয়ত গুঞ্জনে নতুন নতুন মাত্রা যোগ হচ্ছে। ভিকটিমের
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্বজন বলেন, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে, তবে তারা মাত্র ২০ হাজার টাকা পেয়েছেন।
স্থানীয় অসমর্থিত একাধিক সুত্র জানায়, তানোর পৌরসভার  চাপড়া গ্রামের মসলা ব্যবসায়ী নিজেকে সেনা সদস্য পরিচয় দিয়ে এবং মুঠোফোনের সুত্রধরে কলমা ইউপির কেওয়াপাড়া গ্রামের জনৈক ব্যক্তির কন্যা ও স্থানীয় একটি স্কুলের ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এদিকে ঘটনার দিন ওই যুবক তার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যে কলমা-বিল্লী রাস্তার কেওয়াপাড়া মোড়ে অপেক্ষা করছিল। এ সময় ওই স্কুল ছাত্রীর স্বজনরা যুবককে ধরে নিয়ে গিয়ে ঘরে আটকে রাখে ও স্থানীয়
ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমানের কাছে নালিশ করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন জিয়াউর রহমান মেম্বারের নেতৃত্বে সালিশ বৈঠক বসে এবং অভিযুক্ত যুবকের ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তবে ১০ হাজার টাকা ছাড় দিয়ে ৫০ হাজার টাকা আদায় করা হয় এর মধ্যে ১০ হাজার টাকা ইউপি ভবনের নামে কেটে রেখে বাঁকি ৪০ হাজার টাকা সালিশদারদের কাছে জমা রাখা হয়। এবিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমান বলেন, তারা কোনো সালিশ করেননি একটি ঘটনা আপোষ-মিমাংসা করে দিয়েছেন মাত্র। তিনি বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান খাদেমুন নবী বাবু চৌধুরী নিজে উপস্থিত ছিলেন এবং তার হাতে আর্থিক লেনদেন হয়েছে। এবিষয়ে অভিযুক্ত মসলা ব্যবসায়ী বলেন, তিনি তার চাচার মাধ্যমে চেয়ারম্যান সাহেবকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন। এবিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেস্টা করা হলেও ইউপি চেয়ারম্যান খাদেমুন নবী বাবুর কোনো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। #
Exit mobile version