বঙ্গবন্ধু আবার ডাক দিচ্ছে?

উৎসর্গঃ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নির্ভীক সত্য সংবাদিকবৃন্দের
বঙ্গবন্ধু আবার ডাক দিচ্ছে?
মোঃ মহিউদ্দিন বন্ধু
হরতাল হরতাল ধর ধর মার মার
ভাঙ্গছে বাড়ি, দিচ্ছে আগুন গাড়িতে
মরছে মানুষ অহরহ অহরহ তাতে কার যায় আসে ।
আজ দেশের এ কী অবস্থা ? দেশের মানুষের কী হলো ?
বিভেদের মেলা, দেয় অখন্ড জ্বালা, যদি হয় ঝগড়া বিবেধের ঝড় ,
বিশ্বচক্রকারীদের কাজ হবে আমাদের ধর, বলবে দলে দলে মারামারি কর আমাদের পকেট স্বার্থ হাসিল কর ।
আরে তোরা মারামারি কর, মর মেধাবী হলে আমাদের দেশে চল, এই কি শান্তি ? এই কি উন্নতি ?
যদি নেতা নেতৃবৃন্দের হয় তর্কাতকি, তাহলে দেশের অলিগলিতে হয় মারামারি, হিংসা বিদ্বেষের ছড়াছড়ি।
বীরমুক্তিযোদ্ধারা কি এই হানাহানির জন্য দেশ স্বাধীন করেছিল ?
বিশ্বে এতো সত্য বিপ্লব কেন হয়েছিল ? এই চিন্তায় ভাবিয়া ঘুমিয়ে পড়ি ।
স্বপ্নে দেখি রাস্তার পোস্টারে, ইতিহাসের পাতায় বজ্রকণ্ঠের বীর বঙ্গবন্ধুর ধ্বনি ।
আমায় কয়, হে পুষ্প শোন মুক্তিযুদ্ধ করেছি, অন্যায় বৈষম্যের বিরুদ্ধে ।
দিয়েছে মায়াবি বুকের তাজা রক্ত ঢেলে , তুমি কী জান ? হারিয়েছে কত মা তার সন্তান ?
কত পুস্প মা – বাবাকে ডাকতে পারেনি, মা মা – বাবা বলে আর একটিবার ।
কত মা – বোনের পড়েছে বীরঙ্গনার দাগ, ত্রিশ লক্ষ শহীদ করে আর্তনাদ ।
আমি বঙ্গের বঙ্গবন্ধু, ভাসানী, শেরে বাংলা, সোহরাওয়ার্দী  হয়ে বলছি আবার ।
যদি ভালোবাস আমায় , আমাদের যদি হৃদয়ে রাখো শহীদের স্মরণ
তবে মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ নিজের মধ্যে কর জাগরণ ।
সর্বাপ্রাণে যুদ্ধে লড়েছি পাকসেনাদে সাথে ছিলনা কিছু, বুকে ছিল মুক্তির শক্তি ।
এই শক্তিই দিয়েছিল পরাধীনতা থেকে মুক্তি ।
লাঠি, হাতুড়ি, বাইফেল দিয়ে বাজিয়েছি বিজয়ে নিশান, আমরাই সে বাংলার কৃষাণ ।
হে আমার বাংলার স্বজন, বিশ্বপ্রেম কর অর্জন, আমরাও তার আপনজন
যদি নিজেদের মধ্যে হয় ঝগড়া- ঝাটি, তাহলে কীসের উন্নতি
প্রয়োজন জাতীয় সংহতি পাবে শান্তি হবে উন্নতি ।
বিশ্ব চায় পরাধীনতা থেকে মুক্তি, শান্তি ।
প্রতি ভালোবাসা দিবে, প্রশান্তির দ্রুতি , মুক্তির শক্তি ।
এটি আমাদের বর্তমান সময়ের উক্তি, যদি মহামানবের প্রতি থাকে ভক্তি ।
অনুসরণে পাবে তুমি মুক্তি, জাগাও ভালোবাসার তৃপ্তি ।
হিংসার শেকল ভাঙ্গো,পাষাণ বরফে লাগাও হাওয়া, এই হাওয়া ভালোবাসার চাওয়া ।
বিশ্বকর্মে আর নয় শ্রমিক, যাবে অধ্যাপক গুরুরুপে সঠিক রাস্তায় প্রদর্শক হিসেবে ।
তাহলে আর মারতে পারবে না লাথি, রেখে আসবে ভালোবার স্মৃতি ।
এটিই হবে মানবিক মহাসমাজ গড়ার সংগতি, এভাবে হবে প্রকৃত উন্নতি ।
প্রত্যয় হোক ভালো মানুষ ,ভালো দেশ ,স্বর্গভূমির বাংলাদেশ , ইনশাল্লাহ সব সম্ভব।
শোষণ আগ্রাসন থেকে আমরা থাকব মুক্ত, মানবতার জাগরণে আমরা হবো শুদ্ধ ।
চোরহীন, ঝগড়া বিভেদহীন জাতি – ধর্ম বিভেদ ভুলে, মানব প্রেমের বলে আত্মশক্তির প্রদীপ জ্বলে ।
জ্বালাও মানবতা শুদ্ধাচারে বাতি, শোষণ নির্যাতন হতে পারে না নেতৃত্বের জ্ঞাতি ।
নিজের কাজ সর্বোচ্চ করাই প্রকৃত উন্নতি,বাংলাদেশ হবে শান্তির কানন,বিশ্বকে দিবে প্রশান্তির মনন প্রজনন ।
হে পুষ্প এখন থেকে স্বপ্ন দেখ আমরা হবো, পৃথিবীর সেরা দশ জাতীর একজাতী ।
সোনার বাংলা হয়েছে গঠন , জাতি – ধর্ম – বর্ণ – গোত্র মিলে হও এক , স্মরণ করো মুক্তিযুদ্ধের ত্যাগ ।
পেরেছিলাম আমরা, পারবেও তোমরা, লক্ষ্য, বিশ্বাস, পরিশ্রম যোগ্যতা ভালোবাসা দিয়ে ।
হঠাৎ ভাঙ্গল ঘুম টেলিভিশনের শব্দে, টেলিভিশনের পর্দায় দেখি
অর্থনীতি ও উন্নয়নের সম্ভাবনায় এগিয়েছে বাংলাদেশ, অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ ।
বঙ্গবন্ধুর বিশ্বাসের বাণী, আমরাই প্রজন্মের নব ধ্বনি ।
—লেখক
মোঃ মহিউদ্দিন (বন্ধু)
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
প্রেসিডেন্ট – পরিবেশবন্ধু ভলেন্টিয়ার্স
Email:chairman.pbv@gmail.com
দ্বিতীয় কবিতা,,,,,,,,
উৎসর্গ: অধ্যক্ষ ছালেহ আহমদ
-কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজ
আয়-ব্যয়
মোঃ মহিউদ্দিন বন্ধু
আয় অনুসারে করলে ব্যয়,
পড়বেনা ঋণের কব্জায়।
যদি পারো করো সঞ্চয়
মন যদি চায় করো কিছু দান।
প্রকৃতি বলে, যদি করো দান,
প্রকৃতি দেবে তোমায় বহু প্রতিদান।
অবুঝ মানুষ করে না দান,
যদি করত দান হত মহান
যদি অন্যায় করে আয় করো দ্বিগুণ
ব্যয় হয় যে তার চারগুণ
ভাই, দ্বিগুণ আয়ের কারণে যদি হয় অসুখ,
তুমি কি তাতে পাও সুখ?
আবার টাকা খরচ হয় জলের মতন
ডাক্তার হেসে কয়, খেয়েছিলে দ্বিগুণ
দিয়ে যা চারগুন।
বোনাস তো আছে , কাটব নাড়ি ভূড়ি
সৎ পথে আয় করো
ব্যয় কর আয় অনুসারে।
কোরো না অপচয়
জানো তুমি অপচয়ে কি !
সোভিয়েট ইউনিয়ন দিত ফ্রি রুটি।
অপচয় করতে করতে খেলল ফুটবল।
তারপর নামল অর্থনীতির ধস
ভাবুন সে প্রাচীন গ্রীসের কথা
ছিল তারা কেমন।
বিলাসের কারণে হল আজ নামখ্যাত দেউলিয়া
পন্যের দাস হয়ো না, কেনাকাটায় করো না অপচয়।
তাহলে হয় যে ঋণ , ঋণের চিন্তায় পরিবারের স্বর্গ হয় নরক
চিন্তায় হয় যদি হার্ট অ্যাটাক, তাহলে তো তুমি শেষ ।
বহু লোক ঋণের চিন্তায় ,খেয়েছে অশান্তির ফাঁসি।
দেখ খুঁজে ইতিহাসের পাতায়।
জিনিস কিনতে চাইলে নিজেকে প্রশ্ন কর
এটা কি আমার প্রয়োজন? অত্যন্ত প্রয়োজন?
এটা ছাড়া কি আমার চলবে না?ঋণ ছাড়া কিনতে পারব কি?
চার প্রশ্নের উত্তর যদি হয় হাঁ ।
নিয়ে নাও জিনিসপত্র।
এভাবে চললে হবে না অপচয়।
আয় অনুসারে করলে ব্যয়
বাঁচবে তুমি হবে না অশান্তি ।
এগিয়ে যাবে দেশের অর্থনীতি
বিশ্বে ফিরে আসবে শান্তি সমৃদ্ধি
দান ,সদাচরণ,সেবাই হবে সেরা মানুষের পরিচিতি।
এভাবে হবে বিশ্ব ক্ষুধা, ঋণ, অপচয় থেকে মুক্তি।
লেখক
মোঃ মহিউদ্দিন বন্ধু
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
প্রেসিডেন্ট – পরিবেশবন্ধু ভলেন্টিয়ার্স
Email:chairman.pbv@gmail.com
Exit mobile version