বাংলাদেশের ব্যাতিক্রমী কবি সাইয়েদ জামিল ( ১৮+ ) – ২য় পর্ব( প্রবন্ধ )

পড়ে না থাকলে প্রথম পর্ব টা আগে পড়ুন।

জীবনানন্দ দাস সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত ২০১৫ সালে। যখন কোন কবিতার সমালোচনা করা হবে তখন তার ব্যক্তিগত, রাজনৈতিক দর্শন নিয়ে কথা বলা অর্থহীন। তিনি কবিতার মাধ্যমে কি বলতে চেয়েছেন, কবিতা হিসেবে কতটুকু স্বার্থক হল এসবই মূল আলোচনা হওয়া উচিত।

সাইয়েদ জামিলের কবিতারর কিছু নমুনা দেখি –
”পৃথিবীতে আমরা গান গাই
পক্ষী শিকার করি,
চোদাচুদি করি, এবং নিজেদের অস্তিত্ব ঘোষণা করি ”

আমরা এসবই করি, ভুল কিছু নেই। আর একটা কবিতায় তিনি লিখেছেন,
”স্বেচ্ছায় শাড়ি খুলে শ্রীমতি কাদম্বরী আমার
মুখের ভেতর পুরে দিলো
তার অহংকারী দুধের বোঁটা। দুপা ফাঁক
করে ঊরুসন্ধি দেখিয়ে বললো,
‘ও নব্য ঠাকুরপো, এ শরীর তোমারও’
আমি মুসলমানের পোলা, আমার ঘেন্না হল।
তবু আমি কাদম্বরীর সাথে রতিক্রিয়া সম্পন্ন করলাম ”

কবি এখানে কাদম্বরীর সাথে রতিক্রিয়ার এক অন্যায় ভাবনা প্রকাশ করেছেন। কাদম্বরী কোন প্রেম কামের দেবী নয়, নয় কবির প্রেমিকা। তাই এরকম ভাবনা আসলে বিকৃত বাসনা। দ্বিতীয়ত এখানে ‘ আমি মুসলমানের পোলা ‘ কথাটি চরমমাত্রার সাম্প্রদায়িকতা, যা নিন্দনীয়।
দ্যা স্পিরিট অব ইসলাম নামক কবিতায় লিখেছেন,
”আমি গুরু চোদা জামিল।
সুতরাং রবীন্দ্রনাথকে পাল্টা থাপড়াইতে দ্বিধা করিলাম না।
এবং মাদারচোত বলিয়া গালিও দিলাম।
তারপর পোস্টারের সেই রবীন্দ্রনাথরে ছিঁড়ে ছিন্নভিন্ন
করে কমোডে ফেলে তার উপর মুত্র
বিসর্জন করিলাম এবং ফ্ল্যাশ আউট
করিয়া গৃহ হইতে ঠাকুর তাড়ায়া দিলাম ”

বাইবেল

বাইবেল একটি অধ্যায় আছে যার নাম “পরমগীত” সেই অধ্যায়েটিতে পুরো কবিতা রয়েছে, এই কবিতা গুলি নিবেদিত হয়েছে প্রেমিকের উদ্দেশ্যে প্রেমিকার এবং প্রেমিকার উদ্দেশ্যে প্রেমিকের। একে আবার ‘সলোমানের গীত’ নামেও অভিহিত করা হয়েছে কারণ হিব্রু ভাষায় রচয়িতা হিসাবে তাঁর নামই লিপিবদ্ধ আছে। (বাইবেল, পুরাতন নিয়ম, পরমগীত, ভূমিকা)

এখানে এমন অশ্লিল ভাবে প্রেমিক প্রেমিকার কথা হচ্ছে যা প্রকাশ করাই কঠিন। সাধারণ প্রেমের ছড়ার বইগুলোতে এত অশ্লিল কথা থাকে কিনা আমার জানা নেই মনে হবে যেন “ফ্রী সেক্স” এর বই। তবুও আবার এ অশ্লীল গুলো সুলাইমান আলাইহি সালামের নামে চালাচ্ছে, কিভাবে শায়ত্বন এদেরকে পথ ভ্রষ্ট করেছে। প্রিয় পাঠক কিছু কিছু পয়েন্ট উল্লেখ করলাম যাতে বুঝতে পারেন এটা ধর্মিয় কিতাব না অসামাজিক অশ্লীল প্রেম কাহিনীর কিতাব, বিচার করবেন আপনারা। আসুন এবার দেখি অশ্লীলতা গুলো কেমন!

যদি পড়ে না থাকেন তাহলে এই প্রবন্ধের প্রথম পর্ব টা আগে পড়ুন নিচের লিংকে।

আসুন এবার দেখি অশ্লীলতা গুলো কেমন!

(ক) প্রমিকা

ওগো প্রিয়তম, চুম্বনে চুম্বন আজ ভরে দাও বিবশ অঙ্গ মোর,

(বাইবেল, পুরাতন নিয়ম, পরমগীত, ১/২)

(খ) প্রেমিকা

ওগো সিয়োন ললনা, এস, দেখ আমার রাজা সলোমনকে, কিরীট শোভিত রাজা আমার। এ কিরীটখানি জননী যে তাঁর, বিবাহের মধুরলগনে আনন্দের মিলনবাসরে পরিয়েছিলেন তাঁরে। (বাইবেল, পুরাতন নিয়ম, পরমগীত, ৩/১১)

(গ) প্রমিক

কুচযুগ যেন যুগল মৃগ যমজ হরিণ যেন পদ্মবনে। (বাইবেল, পুরাতন নিয়ম, পরমগীত, ৪/৫)

(ঘ) প্রেমিকা

আমি খুলেছি আমার আবরণখানি কি করে আবার পরি, ধুয়েছি আমার চরণযুগল কি করে মলিন করি? (বাইবেল, পুরাতন নিয়ম, পরমগীত, ৫/৩)

(ঙ) প্রেমিক

নাচো, নাচো ওগো শুলেমবাসিনী কন্যা আমরা দেখব তোমার নৃত্যপরা তনুভঙ্গিমা। (বাইবেল, পুরাতন নিয়ম, পরমগীত, ৬/১৩)

(চ) প্রেমিক

কী অপরূপা রূপকন্যা তুমি! পাদুকাশোভিত পদপল্লব তব অপরূপ রূপময়! সুঠাম জঘন যেন শিল্পীর কারুকার্য, তোমার নাভিকুণ্ড যেন সুরায় উচ্ছল এক সুগোল পানপাত্র, কটিদেশ যেন কুমুদ কমলে ঘেরা গোধূমের স্তূপ। কুচযুগ যেন যুগল মৃগ, যমজ হরিণসম। তব মরাল গ্রীবা যেন গজদন্তের শুভ্র মিনার” (বাইবেল, পুরাতন নিয়ম, পরমগীত, ৭/১-৪)

(ছ) প্রেমিক

ওগো প্রিয়া মোর, কত মনোলোভা তুমি, তুমি কত সুন্দর। তোমার প্রেমের অসীম আনন্দে হৃদয় ভরে যায় কানায় কানায়। খেজুর গাছের মত শোভাময়ী তুমি তব কুচযুগ যেন খেজুরের গুচ্ছ। সেই গাছ থেকে আমি পেড়ে আনব তার ফলসম্ভার। আমার নয়নে তোমার স্তনযুগল যেন গুচ্ছ গুচ্ছ রসাল দ্রাক্ষাফল, আপেলের মধুর সুগন্ধ আসে তোমার নিঃশ্বাসে, (বাইবেল, পুরাতন নিয়ম, পরমগীত, ৭/৬-৮)

(জ) প্রেমিকা

তুমি যদি মোর সহোদর হতে, লালিত হতে যদি মোর জননীর স্তন সুধায়, তবে পথের মাঝে তোমায় চুম্বন করলেও মনে করত না কেউ কিছুই। আমি নিয়ে যেতাম তোমায় আমার জননীর গৃহে, আমার শৈশবের লীলা নিকেতনে, সেখানে তুমি শিখাবে আমায় প্রেমের ললিত কলা। আমি দিতাম তোমায় মশলা সুরভিত মদিরা হাতে তুলে দিতাম আমার আনারের সুরা। বামবাহু তব হবে মোর উপাধান, দক্ষিণ বাহুডোরে বাঁধিবে আমারে তুমি। ওগো জেরুশালেমের কামিনীকুল, শপথ কর, দোহাই ওগো ভেঙ্গো না মোদের প্রেমের বাসর। (বাইবেল, পুরাতন নিয়ম, পরমগীত, ৮/১-৪)

(ঝ) প্রমিকা

আমাদের ছোট্ট একটি বোন আছে যৌবন তার আসে নি এখনও কোন নবীন যুবক যদি আসে তার কাছে প্রেম নিবেদন মানসে, বল, কি করব আমরা তার জন্য?” (বাইবেল, পুরাতন নিয়ম, পরমগীত, ৮/৮)

(ঞ) প্রেমিকা

আমি এক প্রচীর স্বরূপা কুচযুগ মোর যেন তার সুউচ্চ মিনার” (বাইবেল, পুরাতন নিয়ম, পরমগীত, ৮/১০)

ধন্যবাদ

Exit mobile version