হুজরা টাকা নেয় বিধায় তাদেরকে ধর্ম ব্যবসায়ী বলে।
অনেক আগের কথা। দেলোয়ার হোসেন সাঈদী একবার বলেছিলেন – উনার বিরুদ্ধে অভিযোগ, উনারা নাকি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করেন। এরপর তিনি বলেছিলেন – তিনি আসলে “ধর্মীয় রাজনীতি” করেন। “ধর্ম নিয়ে রাজনীতি” তারা করে, যাদের হাতে নির্বাচনের আগে তসবী দেখা যায়, কিন্তু নির্বাচনের পরে সেটা আর দেখা যায় না।
এই একটি কথায়, ধর্মীয় রাজনীতি এবং, ধর্ম নিয়ে রাজনীতির পার্থক্যটা বোঝা যায়।
আজকে, আমি “ধর্ম ব্যবসা” জিনিসটা, খুব ভালোভাবে বুঝিয়ে দিব, ইনশা-আল্লাহ।
একেবারে জান্নাতের গ্যারান্টি দেওয়া জীবিত পীর। কেউ খালি হাতে ফিরে না, তেমন মৃত পীরের মাজার। বছরে তিনবার মৃত্যু-বার্ষিকী (ওরশ) হয়, তেমন পীরের মাজার। বিফলে মূল্য ফেরত, এমন তাবিজ, সুতা, পানি পড়া, ইত্যাদি। এগুলো হলো ধর্ম-ব্যবসা।
যারা ইসলাম শেখায়, ইসলামিক বক্তব্য দেয়, তারা হলেন ইসলামিক শিক্ষক। আপনি যখন কোন শিক্ষকের কাছে বাংলা, ইংরেজী ইত্যাদি পড়েন, তখন সেই শিক্ষককে টাকা দেন। ঠিক একইভাবে, যে শিক্ষক আপনাকে ইসলাম শেখায়, তাকে টাকা দিবেন। তারা ধর্ম ব্যবসায়ী নয়। তারা ধর্মীয় শিক্ষক।
চক্রান্ত করে, এমন ধর্মীয় শিক্ষকদের ধর্ম ব্যবসায়ী অপবাদ দেয় ইসলাম বিরোধীরা। এতে দুটি ক্ষতি আছে। এক, এই বিতর্কে ঈমানদার মুসলমানেরা বিভক্ত হবে। দুই, মুসলমানেরা ইসলামিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে।
ইসলাম বিরোধীর চক্রান্ত থেকে সাবধান। ধর্ম ব্যবসায়ী থেকে দূরে থাকুন। ধর্মীয় শিক্ষককে উৎসাহ দিন।