সাহাব উদ্দিন রিটু,বান্দরবান: দেশকে এগিয়ে নিতে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণের বিকল্প নাই।তাই কৃষি উৎপাদন বাড়াতে কৃষককে উৎপাদন মুখী করতে সরকার নানামুখী উদ্যোগ গ্রহন করে যাচ্ছে।এর একটি উদ্যোগ হচ্ছে কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় পুষ্টি গ্রাম সৃষ্টি।এর আলোকে বান্দরবানে গড়ে তোলা হচ্ছে একটি মডেল পুষ্টি গ্রাম।এজন্যে জেলার ৭টি উপজেলার মধ্যে লামা উপজেলাকে বেচে নিয়েছে বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের উত্তর দরদরি পাড়ার ৭৮জন উপকার ভোগীর মাঝে এই প্রকল্পের আওতায় পুষ্টি গ্রামের উপকরণ বিতরণ করেছে লামা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ।
এ লক্ষে লামা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এক আলোচনা সভার আয়োজন করেন। মঙ্গলবার বিকেল ৪ টায় রুপসী পাড়া ইউনিয়নের উত্তর দরদরি পাড়ায় এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা গোপন কান্তি চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায়
পুষ্টি গ্রামের লক্ষ উদ্দেশ্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশ্রাফুজ্জামান।
তিনি বলেন,বান্দরবান জেলার মধ্যে এটিই একমাত্র পুষ্টি গ্রাম।এ পুষ্টি গ্রাম সৃষ্টি করতে আমরা আপনাদের বিনামুল্যে বিভিন্ন উপকরণ দিচ্ছি।বাগানের রোগবালাই নির্ণয়ে আমাদের কর্মকর্তাগন সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। এরপরেও যেকোন সমস্যায় আপনারা আমার সাথে যোগাযোগ করবেন।তিনি আরোও বলেন,বান্দরবানে এটিকে মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।ভবিষ্যতে আমাদের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ এই পুষ্টি গ্রাম দেখতে আসবেন।অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,সোনালী ব্যাংক শাখা ব্যবস্থাপক মো. আসাদ সিদ্দিকী,মাতামুহুরী সরকারি ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক রফিকুল ইসলাম খাঁন,মো.শামসুল ইসলাম,উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা অভিজিত বড়ুয়া,উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অনুশ্রী দে,সুকুমার দেওয়ানজী,সুরেশ কান্তি বশাক,কিং খিং চাই মার্মা প্রমুখ।এসময় সাংবাদিকরাও উপস্থিত ছিলেন।
পরে পুষ্টি গ্রামের জন্য ৭৮ জন উপকার ভোগীর মাঝে উপকরণ বিতরণ করা হয়।বিতরণকৃত উপকরণের মধ্যে প্রতিজনকে দেওয়া হয়েছে সবজি হিসেবে লালশাক,পালংশাক,মুলাশাক,মিষ্টি কুমড়া ও লাউের বীজ, এবং টমেটো ও বেগুন চারা,মসল্লা হিসেবে পেযাঁজ কন্দ,ধনিয়া,রসুন ও গুল মরিচ বীজ,ফলজ হিসেবে আম,পেয়ারা,মাল্টা,লেবু,বাতাবীলেবু,কমলা ও
আমড়া চারা,ভেষজ হিসেবে সজিনা,আমলকী,
মেহেদী,পুদিনা ও থানকুনি চারা।এছাড়া বাগান রক্ষনাবেক্ষনের জন্য দেওয়া হয়েছে পানি ছিটানো মেশিন বা ঝরণা, জৈব ও রাসায়নিক সার,নেট ও সাইন বোর্ড ইত্যাদি।