স্বামীর কুড়ালের আঘাতে দুই হাতই হারিয়েছিলেন রুশ তরুণী মার্গারিটা গ্র্যাচেভা। ক্ষতিপূরণ হিসেবে তাকে সোয়া তিন লাখ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকার বেশি) ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইউরোপিয়ান কোর্ট অব হিউম্যান রাইটস। বিবিসি বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
ইউরোপিয়ান কোর্ট অব হিউম্যান রাইটস জানায়, রাশিয়া পারিবারিক সহিংসতা মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়েছে। তাই মার্গারিটা গ্র্যাচেভা এবং ভয়াবহ আক্রমণের শিকার আরও তিন নারীকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য রাশিয়াকে নির্দেশ দিয়েছে ইউরোপিয়ান কোর্ট অব হিউম্যান রাইটস।
ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেওয়া ছাড়াও ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা বন্ধে আদালত রাশিয়াকে তৎক্ষণিক বিচার ব্যবস্থা প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছে।
আদালত জানায়, রাশিয়াতে পারিবারিক সহিংসতা ‘ব্যাপকভাবে’ বেড়ে গেছে। দেশটি মানবাধিকার সম্পর্কিত ইউরোপীয় কনভেনশনের দুটি অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করেছে।
বিবিসি জানায়, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে মার্গারিটা গ্র্যাচেভাকে তার স্বামী অপহরণ করেন। এরপর একটি জঙ্গলে নিয়ে তার দুই হাত একটি কুড়াল দিয়ে বিচ্ছিন্ন করে দেন। এর আগে মার্গারিটা তার স্বামীর খারাপ আচারণের কথা বারবার পুলিশকে জানিয়েছেন। কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তারা তার অভিযোগ আমলে নেননি।
তার ক্ষতিগ্রস্ত বাম হাতটি বন থেকে উদ্ধার করে প্রতিস্থাপন করতে সক্ষম হন চিকিৎসকরা। চাঁদা তুলে অর্থ সংগ্রহের পর তার ডান হাতে কৃত্রিম হাত লাগানো হয়েছে।
মার্গারিটার সাবেক স্বামীকে ওই অপরাধে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আদালত জানায়, মার্গারিটার ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে, কীভাবে শারীরিক হেনস্তার আগ পর্যন্ত রাশিয়ার পুলিশ পারিবারিক সহিংসতার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে হাত গুটিয়ে বসে থাকে।
পারিবারিক সহিংসতার শিকার অন্য তিন নারী নাটালা টুনিকোভা, ইয়েলেনা গার্শম্যান এবং ইরিনা পেট্রাকোভাকেও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।