বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০২৪ উপলক্ষে ইএসডিও নাইস প্রকল্পের বাস্তবায়নে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

 

দিনাজপুর প্রতিনিধি ঃ বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০২৪ উপলক্ষে সাসটেনেবল এগ্রিকালচার ফাউন্ডেশন (এসএএফ) বাংলাদেশ সহযোগিতায় ইকো সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) নাইস প্রকল্পের বাস্তবায়নে এক বর্ণাঢ়্য র‌্যালি, পুরষ্কার ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালিটি নভেরা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে দিনাজপুর সরকারি কলেজের মোড় পর্যন্ত প্রদক্ষিন শেষে এক আলেচনা সভায় গৃহিত হয়। আজকের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল “ উন্নত জীবন ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য খাদ্যের অধিকার”।
গত বুধবার ৬.১১.২৪ ইং তারিখে নভেরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে বিভিন্ন স্কুলের পুষ্টি বিষয়ক স্টল প্রদর্শন এবং অডিটোরিয়ামে বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে পুষ্টি বিষয়ক সচেতনা সৃষ্টিরকল্পে পুরষ্কার বিতরনী ও আলোচনা সভাতে ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকার অংশগ্রহনে দিনাজপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নুর-এ-আলম এর সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, ১৯৪৫ সালে বিশ্ব খাদ্য দিবস চালু হয়েছিল এর কারন খাদ্য পুষ্টি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা। কৃষি বিভাগে অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা লাভ করেছি। বেশি উৎপাদনের ফলে প্রত্যেকের ঘরে বছরের জন্য খাদ্য মজুদ আছে। এখন খাবারের চিন্তা কাউকে করতে হয় না। কিন্তু এখন সমস্যা দেখা দিয়েছে পুষ্টির বিষয়ে। যদি আমরা হিসেব করে পুষ্টি যুক্ত খাদ্য খাবার গ্রহণ করতে পারি তাহলে আমাদের এই সমস্যা থাকে না। বিশেষ করে শিশুদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাদের শরীরে সুষম অর্পণ, মেধার বিকাশ ও ভবিষ্যতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পূর্ণ শরীর তৈরীর ক্ষেত্রে সুষম পুষ্টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু হিসেব করে পুষ্টি যুক্ত খাবার না খাওয়ার কারণে আমরা সুষম পুষ্টি না পেয়ে অসম পুষ্টি পাই। অসম পুষ্টি আমাদের শরীরে রোগ বাড়ায় এবং শরীরকে অসম গঠন করে ও আমাদের মেধা বিকাশে বিঘœ ঘটায়। ফলে মেধা সম্পূর্ণ জাতি হিসেবে আগামীতে সেটি গঠন সম্পূর্ণ হবে না যদি না পুষ্টির কথা কেউ না বলে। আমরা আগামীতে উন্নয়নের কথা ভাবছি সেটির সাথে পুষ্টি বিষয়টি যুক্ত করে আজকের এই প্রজন্মকে তাদের প্রত্যেককে সুষম পুষ্টি নিশ্চিত করা কারণ এরাই আগামী দিনে আমাদের জাতির হাল ধরবে। আজকে যারা দুর্নীতি করে ঘুষ খায়, বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত থাকে, হাজার কোটি টাকা জমা করেছে, কেন করেছে জানে না এটি হচ্ছে তাদের নেশা। তাদের যদি সঠিক মেধার বিকাশ থাকতো তারা বুঝতে পারত, আমি কি কাজ করছি, তাহলে তারা করত না। আগামী দিনে আমাদের সুষম পুষ্টি গ্রহণ নিশ্চিত করা আমাদের কর্তব্য ও দায়িত্ব।
বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০২৪ উপলক্ষে ইএসডিও প্রোজেক্টের নাইস প্রকল্পের আয়োজিত বর্ণাঢ্য র‌্যালি, পুরস্কার বিতরনী ও আলোচনা সভাতে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম, মেডিকেল অফিসার ডাঃ কাউসার আহমেদ, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক গৌতম কুমার সাহা, দিনাজপুর পৌরসভার সহকারি ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মিজানুর রহমান মিজান, নভেরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিস্টার মালতী মেরী কস্তা সিআাইসি। নাইস প্রজেক্টের এস এ এফ বাংলাদেশ ম্যানেজার মো: মোশফেদুল আলম তালুকদার, ইএসডিও প্রজেক্টের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর শাহ মোঃ আমিনুল হক, নাইস প্রকল্পের ফিল্ড কো-অর্ডিনেট মো: বদরুল আলম, প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেট প্রত্তয় চ্যাটার্জি সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
ইকো সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) নাইস প্রকল্পের প্রোজেক্ট অফিসার সুবর্ণা ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের সভাপতি দিনাজপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ নুর এ আলম বক্তব্যে বলেন, ইএসডিও নাইস প্রকল্প আয়োজিত অনুষ্ঠানটির কার্যক্রমকে স্বাগত জানাই। আমরা প্রত্যেককে প্রতিদিন যে খাবার খাচ্ছি সেটি খাবার যেন সুষম হয়। সুষম খাবারের যে ছয়টি উপাদান আছে এটি যেন তার মধ্যে অন্তর্নিহিত থাকে। অনেক মা শিক্ষিত না তাদেরকে এই সুষম পুষ্টি বিষয়ে নিশ্চিত বলার দায়িত্ব আমাদের পালন করতে হবে। আমাদের পরিবারের খাদ্যে সুষম উপদান গুলি আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে আগামী ভবিষ্যতের মেধাবী জাতি হিসেবে গঠনের জন্য।

Exit mobile version