বোয়ালী মহানামযজ্ঞ শুরু
অরবিন্দ রায়, স্টাফ রিপোর্টারঃ
বোয়ালী পঞ্চবটি তলা কেন্দ্রীয় মন্দিরে আজ মঙ্গলবার থেকে মহানামযজ্ঞ শুরু হয়েছে। কলিযুগের হরিনামকীর্তন মুক্তির এক মাএ পথ।সনাতন ধর্মের লোকেরা এ কথায় বিশ্বাস করেন। আজ থেকে ২৪ প্রহর ব্যাপী শী শ্রী তারকব্রহ্ম হরিনাম মহানামযজ্ঞ শুরু হয়েছে। নাম সুধা পরিবেশ করবেন জয় অনুকুল ঠাকুর সম্পদায় ( মির্জাপুর ), মাধবীলতা সম্প্রদায় ( গোপালগঞ্জ),বাসনা রানী সম্প্রদায়
( গোপালগঞ্জে),সোনার গোপাল সম্প্রদায় (পিরোজপুর), নবীন কিশোর সম্প্রদায় ( মানিকগঞ্জ), মনুশ্রী সম্প্রদায় (গাজীপুর)। এর পর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দের অষ্টকালীন লীলা কীর্তন শুরু।লীলা কীর্তন পরিবেশন করবেন। দুলাল চক্রবর্তী ( টাঙ্গাইল), কুমারী আশালতা সরকার (সাতক্ষীরা) , কুমারী সুমিতা সরকার মিতালী (নওগাঁ)। অনুষ্ঠান শুরুতে শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ করেন শ্রী বাদল চক্রবর্তী ( বোয়ালী), অধিবাস কীর্তন করেন গোপীনাথ সম্প্রদায় ( বোয়ালী)।
বোয়ালী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন খান জানান, এ কীর্তন আমার ইউনিয়ন পরিষদের পাশে । তাই বিভিন্ন মানুষ আসে তাদের সাথে দেখা হয়। বোয়ালী মহানামযজ্ঞে ইউনিয়নের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠান সুষ্ঠু ও সুন্দর ভাবে সম্পন্ন করার জন্য আমরা কাজ করে যাব।
বোয়ালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বোয়ালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন জানান,দীর্ঘ দিন ধরে বোয়ালী গ্রামে কীর্তন অনুষ্ঠিত
হয়ে আসছে। এই কীর্তনে আমি অতীতেও সহযোগিতা করেছি। ভবিষ্যতে ও সহযোগিতা করব। বোয়ালী ইউনিয়নের মানুষ সাম্প্রদায়িক মুক্ত একটি ইউনিয়ন। আমরা এ ঐতিহ্য কে ধরে রাখব।
বোয়ালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও গাজীপুর জেলা বিএনপির সহ সাধারন সম্পাদক আ,ন,ম খলিলুপর রহমান ইব্রাহিম জানান, বোয়ালী ইউনিয়নের মানুষ অস্প্রদায়িক। তাই হিন্দুধর্মাম্বাবলীদের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষার দল মত নির্বিশেষে আমরা অংশগ্রহণ করে থাকি।
রঘুনাথপুর গ্রামের উৎপল রক্ষিত জানান, এ কীর্তন শোনার জন্য আমার অপেক্ষায় থাকি। সনাতনধর্মী মানুষের কাছে এ কীর্তন উৎসব মুখুর। কীর্তনে আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধবের সাথে দেখা হয়। এক সাথে বসে কীর্তন শোনছি খুব ভালো লাগে।
বোয়ালী গ্রামবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় ২৪ বছর ধরে মাহানাযজ্ঞ অনুষ্ঠান পালন করে আসছেন। বোয়ালী গ্রামে বিরাজ করছে উৎসব মুখুর পরিবেশ। কীর্তন উপলক্ষে বোয়ালী স্কুলয়ড( মাঠে বসেছে মেলা। আশে পাশের গ্রাম সহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের আগমন ঘটে এ কীর্তনে।