ব্যবসায়ী বেশ ধরে চুরি, ডাকাতি, লুটপাটকারীদেরকে আইনের আওতায় নেওয়া জরুরি।

মোঃ আবুল কাশেম, জেলা প্রতিনিধি, ভোলা, বরিশাল, বাংলাদেশ। প্রকৃত পক্ষে দেশের আইন যাকে ব্যবসায়ী বলে বা ব্যবসায়ী সজ্ঞায়িত করে— ভোলা জেলার চরফ্যাসন উপজেলার শশীভূষন থানা সদরের শশীভূষন বাজারের অনেক ব্যবসায়ী-ই প্রকৃত পক্ষে দেশের আইন অনুযায়ী ব্যবসায়ী নয়। অনেকেই ব্যবসায়ী ছদ্ম বেশের আড়ালে চোর, ডাকাত, খুনী, সন্ত্রাসী, লুটপাটকারী, দেশের আইন-কানুন অমান্যকারী, লাঠিয়াল, দাঙ্গাহাঙ্গামাকারী, পরসম্পদলোভী, পরবিত্তলোভী, টাউট-বাটপার, ফটকা, দূর্বৃত্তায়নকারী, ধরাকে সরাজ্ঞানকারী, মাদকসেবী, মাদক ব্যবসায়ী, নারী-যুবতি-তরুনীর দেহ ব্যবসায়ী, দেশের অন্যান্য এলাকায় হোটেলে মোটেলে রিসোর্টে দেহ ব্যবসায়ী বা পতিতা বৃত্তির উদ্দেশ্যে নারী-যুবতি-তরুনী, দিনে বা রাতে কিংবা লোক চক্ষুর আড়ালে পাচারকারী, চোরাচারী, চোরাচালানী, চোরাকারবারী, ন্যায়নীতি লঙ্গনকারী। গ্রামের বয়স্ক স্বামীর ফাতেমা নামের জোয়ানী স্ত্রী একই দিনে ও রাতে তিন চার বার সদাই কেনার নামে বাজারে যাওয়ার কথা বলায় ও বাজার ফেরত হওয়ার সময় সঙ্গে কোন সদাই পত্র না থাকায় সাংবাদিকের অনুসন্ধানী নজর পড়ে ঐ ফাতেমাদের উপর। ক’দিন পরে দেখা যায় মাছের ট্রলিং জাহাজে চাকরী করা স্বামীর স্ত্রী মিতুরও একই অবস্থা। তাদের সঙ্গ নেওয়া অন্য মহিলা বা বোরকা পরিহিত মহিলার মধ্যেও পতিতা কর্মের আচরন। চিকিৎসার নামে, হাসপাতালে যাওয়ার নামে বাড়ির বাহির হয়। তাদের পিছু নিয়ে দেখা যায় যে, তারা আসলে কোন হাসপাতালে যায় নাই। পতিতা কর্মে নিয়োজিত আছে। সামসুদ্দিনের স্ত্রীও থানার ওসির কাছে যায়। রাতে গেলে সবার আগে ওসি সাহেব করে। তারপরে এসআই এএসআই ও পুলিশেরা করে। আবার এসব মহিলারা থানায় ও বাজারে ঐ ভাবে না গেলে থানার লোকেরা ও বাজারের লোকেরা দিনে কিংবা রাতে লোকচক্ষুর আড়ালে ঐ সকল নারী-তরুনী-যুবতিদের উপর এলাকায় চলে আসে। আরো বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে জানা গেছে যে, এই দেহ ব্যবসাটি সদ্য বরখাস্ত আব্দুল্যাহ আল ইসলাম জ্যাকবের। যিনি চরফ্যাসন মনপুরার সংসদ সদস্য ছিলেন। এই দেহ ব্যবসার জন্য ঢাকার গাজিপুরে রিসোর্ট গড়েছেন। চরফ্যাসনের এওয়াজপুরের দৌলতগঞ্জ সহ একাধিক এলাকায় একাধিক খামার গড়েছেন। মিরপুরের ভাড়া করা বাড়িতে দেহ ব্যবসার আস্তানা গড়েছেন। সেই সব যায়গায় চরফ্যাসন মনপুরার বিভিন্ন এলাকার নারী-যুবতি-তরুনী- মেয়েদেরকে আনা- নেওয়া করেন। এসব ধরনের আনা-নেওয়ার কাজেও শশীভূষণ বাজারের ব্যবসায়ী বেশ ধারনকারী অনেক লোক জড়িত আছে। এর আগে এই দেহ ব্যবসাটি তৎকালীন এমপি নাজিমুদ্দিন আলমের মাধ্যমে চরফ্যাসন থানার ওসি এসআই এএসআই, কনস্টেবল, বকশি, পুলিশ, থানার মাঝি, পুলিশের প্রভাবে ও সহায়তায় চলত। জরুরী অবস্থা জারির পর তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ক’দিন এলোমেলো ছিল। পরে আওয়মীলীগ ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামীলীগের মাধ্যমে চলেছে। বর্তমানে মৃত বশির মিয়ার মেয়ে লাইজু মেম্বার, আট কপাটের আলাউদ্দিন মাঝির স্ত্রী, বাসিদ্দোন বাজারের হোটেল ব্যবসায়ী মোসলেহ উদ্দিনের স্ত্রী, এওয়াজপুরের আলাউদ্দিনের বউ সাজু, সাজুর মা আনোয়ারা বেগম (মৃত্যূর পূর্বে), তাসনুর ও রসুলপুরের আরেক মহিলা মেম্বার সহযোগে ঐ দেহ ব্যবসার নারী ও যুবতি জোগান চলছে। ধরা পড়লেই তারা কোন না কোন বাহানা দিয়ে মুক্ত হয়ে যায়। শশীভূষণ বাজারের ব্যবসায়ী রূপ ধারন করে চুরি করা, ডাকাতি করা, লুটপাট করা, সুদের উপর টাকা খাটানোর গডফাদারগিরি করা, নারী- যুবতি- তরুনী ধর্ষন চেষ্টা করা, অতিরিক্ত সম্পর্ক তৈরি করার চেষ্টা করা, মাফিয়াগিরি করার চেষ্টা করা, নেতাগিরি করার চেষ্টা করা, দলীয়করন করার চেষ্টা করা, রাজনীতি করার চেষ্টা করা, বেআইনী তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করা, বেশি কথা বলার চেষ্টা করা, অতিরিক্ত জ্ঞান দেওয়ার চেষ্টা করা, অতিরিক্ত বুদ্ধি দেওয়ার চেষ্টা করা, দূর্বৃত্তায়নের চেষ্টা করা, শোষন করার চেষ্টা করা, গতিবিধি অনুসরন করার চেষ্টা করা, অনধিকার চর্চা করার চেষ্টা করা, অন্যায় স্বার্থের উদ্দেশ্যে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা মোসলেহ উদ্দিন গ্যাং ধ্বংস করা প্রয়োজন। এই মোসলেহ উদ্দিনের পিতার নাম খালেক পাটোয়ারী। সে বর্তমানে ভোলা জেলার চরফ্যাসন উপজেলার শশীভূষণ থানার এওয়াজপুর ইউনিয়নের ছয় নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সে নারিকেলের, সুপারির ও ভূষা মালের আড়তদারির ব্যবসার নামে শশীভূষন বাজারের এওয়াজপুর অংশে এওয়াজপুর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ নেতা রেজাউল করিমের কিংবা তাদের পারিবারিক সূত্রের বা রেজাউল করিমের পিতা মামসুদ্দিন কেরানীর দোতালা ঘরের নীচ তলায় ভাড়া নিয়ে ঐ এলাকার প্রভাবশালী করিম নেতার দাপটকে তার ব্যবসার পুঁজি দেখায়। নিজেকে করিম নেতার আত্মীয়ও পরিচয় দেয়। এভাবে ব্যবসা চালু করে বাংলাদেশ বণিক সমিতির সভাপতি সালমান এফ রহমানের মত পাকনামি করে। দেশের অর্থ সম্পদ লুটপাট করার মত এলাকার মানুষের অর্থ সম্পদ আত্মসাৎ করে ও লুটপাট করে। তাকে তদন্ত করে দেখা গেছে যে, তার ব্যবসাটি সম্পূর্নরূপেই বে-আইনী। সে সুকৌশলে বাজারে কেনাবেচা করার উদ্দেশ্যে আগত লোকদেরকে তার সাঙ্গপাঙ্গ সহযোগে পর্যবেক্ষন করে। সৃকৌশলে তার নিকট হতে ঋণ নেওয়ার ফন্দি করে। কেউ ঋণ নিলেই তার সাথে টাকা ফেরত পাওয়ার কথপোকথনের ছল করে। সেই ছলে তার অর্থনৈতিক বিষয়াদির খোঁজ খবর নেয়। কেউ যদি টাকা পরিশোধ করার উদ্যোগ নেয় তবে কিভাবে সে টাকা পরিশোধ করবে — সুকৌশলে জেনে নেয়। সহজ সরল দেনাদার যেই ভাবে টাকা পরিশোধ করবে বলে বা জানায় সহজ সরল ভাবে, তাকে উহা ভিন্ন আরেকটি বুদ্ধি দেয়। তাতে দেনাদার তার মনমত দেনা পরিশোধ করতে বাধা পায় বা হোঁচট খায় বা বিলম্ব পায়। এই সময় সুযোগের ফাঁকে ঐ মোসলেহ উদ্দিন গ্যাং ঐ দেনাদারের অর্থার্জনের খাতটি গোপনে দখল করে। বা তাদের কারো কারো আয়ত্বে নেয়। তাতে দেনাদার আর টাকা পরিশোধ করতে পারে না। টাকা প্রাপ্তিদার দাবী করে ঐ মোসলেহউদ্দিন পুনরায় তার সাথে আলোচনায় নামে। আলোচনা থেকে পুনরায় অর্থ সোর্স বের করে। ঐ মোসলেহ উদ্দিন গ্যাং গোপনে সেই খাতও দখল করে নেয়। কেউ যদি বলে গাছের সুপারি বিক্রি করে টাকা পরিশোধ করবে তবে লোক বা চোর লেলিয়ে দিয়ে সেই সুপারিগুলো সরিয়ে ফেলে। তাতে দেনাদার আর টাকা পরিশোধ করতে পারে না। দেনাদার নারিকেল সুপারি ব্যতিত অন্য কোন পন্য কেনা বেচা করে টাকা পরিশোধ করবে বললে ঐ মোসলেহ উদ্দিন গ্যাং তাও কিভাবে বেখাত করবে তার ফন্দিও প্রয়োগ করে। দেনাদারকে দেনাদার রেখে সে প্রতিনিয়ত পাওনাদার সেজে অর্থ সোর্স জানার চেষ্টা করে। এবং সহজ সরল লোকদের নামে টাকা প্রাপ্তির ও লেনদেনের কথাবার্তা বলাবলি করে মানুষের মান সন্মান ইজ্জত ও গোপনীয়তা পাংচার করে। মানুষের দূর্বলতা করায়ত্ব করে নিরাপত্তাহানীর হুমকি প্রস্তুত করে। মানুষের নিরাপত্তাহানী ঘটায়। এভাবে মানুষকে শোষন করে। ব্যবসাদার বেশ ধরার আড়ালে এই জঘন্য অপকীর্তি করে। এক পর্যায়ে সুদের উপরও টাকা লাগায়। অর্থাৎ, অর্থ ঋণ শৃংখলে বন্দী করে। দাদন গডফাদারের অধীন করে। তাই ঐ মোসলেহ উদ্দিন গ্যাংদের হাতে থাকা সকল অর্থ সম্পদ বেখাত করে রাষ্ট্রায়ত্বে নিয়ে দেশের ও এলাকার মানুষের জান-মাল-মান-সন্মানের নিরাপত্তা তৈরি করা প্রয়োজন এবং মোসলেহ উদ্দিন গ্যাংদের সকলকে গ্রেফতার করে আইনগত সাজা দেওয়ার আওতাধীন করা প্রয়োজন। ছবিতে— মোসলেহ উদ্দিন।

Exit mobile version