ব্যর্থ উপদেষ্টাদের প্রতি ড. ইউনূসের ইমেজ নষ্ট করবেন না, পদ খোলা আছে পদত্যাগ করুন ……এ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেন, ১৬ বছর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই-ংগ্রাম করে ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করার পরেই বলেছেন, বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করবেন। তার সাথে যারা উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন তারা যদি তাদের অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হন তাহলে দয়া করে পথ খোলা আছে পদত্যাগ করুন। তিনি বলেন, ১৬ বছরে ৭০০ উপরে গুম হয়েছে বিএনপি নেতা কর্মীরা। হাজার হাজার ক্রস ফায়ারে হত্যা করা হয়েছে। বিএনপির লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। বিএনরপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে ৩৬ শে জুলাইয়ের পর বাংলাদেশে প্রতিটি স্থানে দখলমুক্ত, চাঁদাবাজমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য পাহারাদাড় হিসেবে কাজ করে চলেছি। অথচ কেউ কেউ বলার চেষ্টা করছেন, বিএনপি দখল উৎসবে মেতে উঠেছে। তাদেরকে বলতে চাই আপনারা বেসামাল হয়ে পড়েছেন। কখন কোন কথা বলেন, নিজেরাও জানেন না। সকালে এক কথা, বিকেলে অন্য কথা। আগে নিজেরা স্থির হন। বিএনপির বিরুদ্ধে বিষাদগার করে কোন লাভ নেই, কারণ বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিএনপির নেতাকর্মী রয়েছে। বাজার সিন্ডিকেট কারা নিয়ন্ত্রণ করছে, কারা জিনিস পত্রের দাম হুহু করে বাড়াচ্ছে আমরা তাদের চিনি। সরকার তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হচ্ছেন, প্রতিটি জায়গায় আওয়ামী সিন্ডিকেট ও আওয়ামী দোসররা এখনও রাম রাজস্ত করছে। তাদের দিকে না তাকিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে যারা কথা বলছেন তারা ভুলে গেছেন বিএনপি ১৬ বছর মাঠে অজস্র রক্ত দিয়েছে। ২৪’র গণঅভ্যূত্থানে দ্বিতীয় শহীদ ওয়াসিম তিনিও ছাত্রদল করতেন। হাজার হাজার নেতাকর্মীরা ২৪’র আন্দোলনে আহত হয়েছেন, অনেকেই শহীদ হয়েছেন। তালিকা ছোট নয়, আমরা কেউ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলাম না, রাজপথেই ছিলাম।

তৃণমূল নাগরিক আন্দোলন’র উদ্যোগে ২৯ জানুয়ারি বুধবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য দায়ী আওয়ামী দোসর সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করার দাবিতে “নাগরিক অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান বক্তা বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য জননেতা হারুনুর রশিদ বলেন, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন, আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে দুর্বল সরকার বর্তমান অন্তর্বর্তীকালী সরকার। তারা কোন সিন্ডিকেট ভাঙতে পারবে না। বরং দ্রুত নির্বাচন দিলে নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব নিয়ে ফ্যাসিবাদসহ দ্রব্যমূল্য লাগামে আনবে এবং ১৬ বছরে যারা লুটপাট করেছে তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে বিচার করবে।
তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মদ মফিজুর রহমান লিটন বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যতদ্রুত নির্বাচন হবে দেশের সংকট ততদ্রুত সমাধান হবে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অন্য পথে না হেটে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। সেখানেই জনগণ ও জাতির মুক্তি রয়েছে।
আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের উদ্যোগে মুহাম্মদ মফিজুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, কৃষকদলের সহ-সভাপতি ভিপি ইব্রাহীম, যাত্রাবাড়ী থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর আলহাজ্ব বাদল সরদার, তাঁতীদল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক জিএম আনিস, মৎস্যজীবী দলের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য ইসমাঈল হোসেন সিরাজী, কৃষকদলের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নাঈম, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, বাংলাদেশ পিপলস পার্টি-বিপিপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বিলকিস খন্দকার, কৃষকদল শাহবাগ থানার সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন, সংগঠনের সহ-সভাপতি এবি সিদ্দিকীসহ প্রমুখ।

Exit mobile version