লিয়াকত হোসাইন লায়ন,জামালপুর প্রতিনিধি। জামালপুরের ইসলামপুর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকায় ভাড়াটিয়া শিক্ষক দিয়ে চলছে পাঠদান। সুবিধামত এসে কয়েক দিনের স্বাক্ষর একবারেই করেন। এ যেন শিক্ষার নামে লুকোচুরি। যেন দেখার কেউ নেই। প্রশাসনের নিকট শিক্ষার গুনগত পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবী অভিভাবকদের।
জানাগেছে,উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল নোয়ারপাড়া ইউনিয়নে অবস্থিত ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত রাজনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানটিতে ১৫৪ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে ৩ জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুরনবী সেতু দিনের পর দিন অনুপস্থিত থাকায় দুজন শিক্ষক দিয়েই চলছে কোন রকম পাঠদান। অভিযুক্ত ওই শিক্ষক প্রতি নিয়তই নিজের কাজ ব্যস্ত থাকায় ভাড়াটিয়া শিক্ষক দিয়ে চুক্তি ভিত্তিক পাঠদান করান। এতে শিক্ষক সংকটে বিদ্যালয়টির শিক্ষা ব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়েছে।
অভিভাবকদের অভিযোগ, দুজন সহকারী শিক্ষক থাকলেও ওই শিক্ষক তার নিজের কাজের ব্যস্ত থাকায় একজন ‘ভাড়াটিয়া শিক্ষক’ ক্লাস নিচ্ছে। এতে সরকারী অর্থ যেমন তছরুপ হচ্ছে। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া বিঘিœত হচ্ছে। দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
সরজমিনে গিয়ে গত সপ্তাহের অভিযুক্ত ওই প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে একদিনও পাওয়া যায়নি। সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও জমিদাতা রেহান আলী জানান, ২-৩ মাস থেকে তাকে স্কুলে আসতে দেখিনি। ওই শিক্ষককে বিদ্যালয়ে নিয়মিত করতে তিনি ব্যর্থ হয়ে উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের নিকট মৌখিক অভিযোগ করেছি। এরপরও কোন প্রতিকার মেলেনি। নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রোমান হাসান জানান, ‘ওই শিক্ষক বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিত হয় না। তিনি নিজ কাজে ব্যস্ত থাকেন বলে আমি শুনেছি ।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাহানারা বেগম জানান,শিক্ষকের এমন কর্মকান্ড প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিষয়টি আপনাদের মাধ্যম অবগত হলাম। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দীর্ঘদিন অনুপস্থিত ভাড়াটিয়া শিক্ষক দিয়ে চলে পাঠদান!
