মনিরামপুরে ইন্জিনিয়ারের যোগসাজশে রাস্তা সংস্কারে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ।

মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি যশোরের অভয়নগর- মনিরামপুর সিমান্তবর্তী এলাকার- মনিরামপুর উপজেলার কুলটিয়া ইউনিয়নের সুজাতপুর মোড় হতে অভয়নগরের ডহুর মশিয়াটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পযন্ত প্রাই ২ কিঃ মিঃ রাস্তা সংস্কারে ব্যাপক অনিয়ম করা হচ্ছে। ফলে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে রাস্তা সংস্কারে অনিয়মের বিষয়ে যশোর জেলা প্রসাশকের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এলাকাবাসী ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই রাস্তাটি সংস্কার শুরু হওয়া থেকে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম দুর্নীতি করার কারণে মনিরামপুর উপজেলা এলজিডি ইন্জিনিয়ার বিদ্যুৎ কুমার দাসের কাছে একাধিকবার দুর্নীতির তথ্যসহ জানানো হলেও তিনি রাস্তা সংস্কারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি। ফলে এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তায় নিন্মমানের ইট খোয়া ব্যবহারসহ বিভিন্ন অনিয়মে ভরপুর থাকলেও স্থানীয় উপজেলা ইন্জিনিয়ার বিদুৎ কুমার দাস কোন অনিয়ম বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহন না করায়, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও এলাকাবাসী রাস্তা সংস্কার দুর্নীতি অপরাধ বন্ধে জেলা প্রসাশক মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এবিষয়ে ইউপি সদস্য বিদ্যুৎ বৈরাগী বলেন, উপজেলা ইন্জিনিয়ার ঠিকাদারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা খেয়ে তাদের যোগসাজশে ওই রাস্তা সংস্কারে অনিয়মের কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেনা। তিনি আরো বলেন, আমি একাধিক বার ইন্জিনিয়ারকে ফোন করেছি রাস্তা সংস্কারে অনিয়মের চিত্র তাকে দিয়েছি, কিন্তু তিনি আমার ও এলাকাবাসীর কোন কথায় কর্ণপাত করেনি। যে কারনে আমরা জেলা প্রসাশক মহোদয়ের কাছে অভিযোগ করতে বাধ্য হয়েছি। তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, ওই রাস্তা সংস্কারে আনন্দ দাস নামে এক ঠিকাদার ওই রাস্তা সংস্কার করার দায়িত্ব পায়। ওই রাস্তা সংস্কার শুরু করার প্রথম থেকেই অনিয়ম করছে, এলাকার কিছু প্রভাবশালীকে অর্থের বিনীময়ে ম্যানেজ করে ওই ঠিকাদার অপকর্ম করে চলছে। যে কারনে এলাকাবাসী অনিয়মকে বাঁধা দিতে গেলেই বিভিন্ন স্থান থেকে হুমকি পেতে হয়। ফলে বাধ্য হয়ে এলাকাবাসী জেলা প্রসাশকের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এবিষয়ে ঠিকাদার আনন্দ চন্দ্র বলেন, আমার ঐ রাস্তার কাজ সঠিক ভাবে হচ্ছে কোন অনিয়ম হচ্ছে না।এব্যাপারে উপজেলা এলজিডি ইন্জিনিয়ার বিদ্যুৎ কুমার বৈরাগী জানান, রাস্তায় খারাপ কাজ হচ্ছে কি না আমার জানা নেই, আমি রাস্তায় লোক পাঠিয়ে বিষয়টি দেখতেছি অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এব্যাপারে জেলা প্রসাশকের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোনে চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

Exit mobile version