মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) তার বিরুদ্ধে অপরাধ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ১১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ১৯ কিলোমিটার প্রশস্ত সিঙ্গাপুর প্রণালীর দু’টি দ্বীপ পেদ্রা ব্রাঙ্কা এবং সাউথ লেজ’র দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে। ২০০৮ সালে জাতিসংঘের আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে) এ দুটি দ্বীপকে সিঙ্গাপুরের ভূখণ্ড ঘোষণা করে রায় দেন।
মালয়েশিয়ার তৎকালীন সরকার এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করে। তবে ২০১৮ সালে সেই আবেদন প্রত্যাহার করে নেয় মালয়েশিয়া। সে সময় দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মাহাথির মোহাম্মদ। বিতর্কিত এই দ্বীপ দুটির দাবি ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে ৯৯ বছর বয়সী মাহাথিরের বিরুদ্ধে গত সপ্তাহে ফৌজদারি তদন্তের অনুমোদন দিয়েছে দেশটির রাজকীয় তদন্ত কমিশন (আরসিআই)।
মঙ্গলবার মাহাথির সাংবাদিকদের বলেন, দ্বীপের দাবি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি আইন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে তৎকালীন মন্ত্রিসভা নিয়েছিল। যেসব মানুষ মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত ছিল, তারা যদি সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো অভিযোগ বা আপত্তি করতে চাইত, তারা তা করতে পারত। কিন্তু কেউই কিছু বলেনি।
মালয়েশিয়ার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম কয়েক মাস আগে এ বিষয়ে আরসিআইকে তদন্তের অনুরোধ জানিয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার ২১৭ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দেয় আরসিআই। সেখানেই দ্বীপের মালিকানা ছেড়ে দেওয়া এবং তার সঙ্গে সম্ভাব্য দুর্নীতির অভিযোগে মাহাথিরের বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্ত শুরুর অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে মাহাথির বলেন, ‘আমি যদি বিশ্বাসঘাতক হই তাহলে আমার তৎকালীন ডেপুটিও একই রকম বিশ্বাসঘাতক।’ তার তৎকালীন ডেপুটি আনোয়ার ইব্রাহিমের স্ত্রী ওয়ান আজিজাহ ওয়ান ইসমাইল।