মিরসরাইয়ে লোকালয়ে অজগর, বনে অবমুক্ত

মিরসরাই প্রতিনিধি
মিরসরাইয়ে লোকালয় থেকে একটি অজগর সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বিকেলে মিরসরাই উপজেলা সদর সংলগ্ন পাহাড়ী এলাকা থেকে ওয়াইল্ডলাইফ এন্ড স্নেক রেসকিউ টিম ইন বাংলাদেশের এক সদস্য অজগরটি উদ্ধার করে। খবর পেয়ে বনবিভাগের কর্মকর্তারা সাপটি উদ্ধার করে মহামায়া ইকোপার্কের বনে অবমুক্ত করে।
ওয়াইল্ডলাইফ এন্ড স্নেক রেসকিউ টিম ইন বাংলাদেশের সদস্য নাইমুল ইসলাম নিলয় বলেন, একটি অজগরকে স্থানীয়রা বস্তাবন্দী করে রাখার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে মিরসরাই উপজেলা সদর সংলগ্ন পাহাড়ী এলাকা থেকে অজগরটি উদ্ধার করতে সক্ষম হই। পরে বন বিভাগের মাধ্যমে মহামায়া লেকের বনে অজগরটি অবমুক্ত করা হয়।

বন বিভাগের মিরসরাই রেঞ্জ কর্মকর্তা শাহেন শাহ নওশাদ জানান, খবর পেয়ে অজগর সাপটি উদ্ধার করে মহামায়া ইকোপার্কের বনে অবমুক্ত করা হয়।

বাংলাদেশ অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা এবং তরুণ বন্যপ্রাণী গবেষক জোহরা মিলা জানান, অজগর নির্বিষ সাপ। এটি নিশাচর ও খুবই অলস প্রকৃতির, প্রয়োজন ছাড়া নড়াচড়াও করে না। এই প্রজাতিটি গাছে একাকী বাস করলেও শুধু প্রজননকালে জোড়া বাধে। সাধারণত মার্চ থেকে জুনের মধ্যে এদের প্রজননকাল। দেশের ম্যানগ্রোভ বন, ঘাসযুক্ত জমি, চট্টগ্রাম ও সিলেটের চিরসবুজ পাহাড়ি বনে এদের দেখা পাওয়া যায়। সাপটি সাধারণত মানুষের ক্ষতি করে না। খাদ্য হিসেবে এরা ইঁদুর, কচ্ছপের ডিম, সাপ, বন মুরগি, পাখি, ছোট বন্যপ্রাণী ইত্যাদি খায়। সাপটি নিজের আকারের চেয়েও অনেক বড় প্রাণী খুব সহজেই গিলে খেতে পারে।

জোহরা মিলা বলেন, চামড়ার জন্য সাপটি পাচারকারীদের লক্ষবস্তুতে পরিণত হয়েছে। ফলে আমাদের বনাঞ্চল থেকে এটি দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ এর তফসিল-২ অনুযায়ী এ বন্যপ্রাণীটি সংরক্ষিত, তাই এটি হত্যা বা এর যে কোনো ক্ষতি করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

Exit mobile version