মিরসরাইয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধিত করলো বারইয়ারহাট পৌরসভা

সরকারের নানা রকম উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলেধরতে হবে।

মিরসরাই প্রতিনিধি
মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ
ও মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান সম্পর্কে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে বারইয়ারহাট পৌরসভার
উদ্যোগে। অনুষ্ঠানে জীবিত ১২ জন এবং মরণোত্তর ২২ জন বীর
মুক্তিযোদ্ধাকে ক্রেস্ট প্রদান করে সম্মানিত করা হয়। বৃহস্পতিবার (৩
মার্চ) পৌরসভা মিলনায়তনে তানভীর আহাম্মদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে
সভাপতিত্ব করেন মেয়র রেজাউল করিম খোকন।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা
একেএম শামসুল হুদা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আহসান খান বোরহান, বীর
মুক্তিযোদ্ধা কামাল পাশা। আরো বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র নিজাম উদ্দিন,
কাউন্সিলর বিষ্ণু প্রসাদ দত্ত রতন, হিঙ্গুলী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড
আওয়ামী লীগের সভাপতি জয়নাল আবেদীন রানা, মোশাররফ হোসেন
প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে সকল শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত
কামনা করে মিলাদ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বারইয়ারহাট কেন্দ্রীয়
জামে মসজিদের খতিব মাওলানা নিজাম উদ্দিন আনছারী। এসময়
বারইয়ারহাট পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও পৌরসভার
কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জাতীয় শ্লোগান সর্বস্তরে চালু
করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতোনা। বাংলাদেশ
স্বাধীন না হলে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে
পারতোনা। বিশ্ব পরিমন্ডলে আমাদের কোন পরিচয় থাকতোনা। জাতির
পিতার কন্যা শেখ হাসিনার জন্ম না হলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কোন
সম্মান মূল্যায়ন হতো না। আজ যতো অর্জন সব সম্ভব হয়েছে
স্বাধীনতার স্বপক্ষের দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাতে।
সভাপতির বক্তব্যে মেয়র রেজাউল করিম খোকন বলেন, মাত্র ৯ মাসের
সংগ্রামে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের
ভাষণে বীর মুক্তিযোদ্ধারা উজ্জীবিত হয়েছেন। আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের
সম্মানে কাজ করে যাবো। সরকারের নানা রকম উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে
ধরতে হবে। আসন্ন রমজান মাসকে সামনে রেখে সরকার ন্যায্যমূল্যে
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান চালুসহ দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখার
উদ্যোগ নিয়েছে।

Exit mobile version