নারীর প্রতি কুরুচিপূর্ণ ও অশালীন নানা বক্তব্য দিয়ে আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। দলের আগামী কার্যনির্বাহী সভায় তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
হানিফ বলেন, দলের দায়িত্বশীল পদে থাকা কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে, তিনি যত বড় নেতাই হোন না কেন, তাকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।
সম্প্রতি বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মুরাদ হাসানের বক্তব্যসংবলিত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমান সম্পর্কে ‘অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ’মন্তব্য করতে শোনা যায় তাকে। তাঁর ওই বক্তব্যের সমালোচনায় সোচ্চার হয়েছিলেন নারী অধিকারকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ। প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে মুরাদ হাসানকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবিও উঠেছিল।
এর মধ্যে ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়িকা মাহীর সঙ্গে প্রতিমন্ত্রী মুরাদের টেলিফোন কথোপকথনের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে ওই চিত্রনায়িকার উদ্দেশে তাঁকে ‘কুরুচিপূর্ণ’কথা বলতে শোনা গেছে। এই কথোপকথন নিয়েও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা চলছিল।
এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসাশাস্ত্রের ডিগ্রিধারী মুরাদকে মঙ্গলবারের মধ্যে পদত্যাগ করতে গতরাতে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকাল সংবাদ ব্রিফিংয়ে মুরাদকে পদত্যাগ করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা সাংবাদিকদের জানান।
ইতোমধ্যে প্রতিমন্ত্রী মুরাদ তার পদত্যাগপত্র নিজ দপ্তরে পাঠিয়েছেন। মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব হারাতে বসা মুরাদ এবার দল থেকেও বাদ পড়তে পারেন বলে দলের নেতা হানিফের কথায় ইঙ্গিত মিলেছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, মুরাদ হাসানকে এরই মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ থেকে পদত্যাগ করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। দল থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে দলের আগামী কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে।