মোঃ কামাল উদ্দিন, লক্ষ্মীপুর ঃ
লক্ষ্মীপুরে মেঘনায় নিষেধাজ্ঞার ২২দিন পর নদীতে মাছ ধরা পুরোদমে শুরু হয়েছে। মাছঘাটগুলোতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলে ও আড়ৎতদাররা।
এবার অভিযান সফল হওয়ায় মাছের উৎপাদন বাড়ার আশা করছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন।
তিনি বলেন, ইলিশের আকার বড়। বেশিরভাগ ইলিশ ডিম ছেড়েছে ফলে পেটে ডিম নেই। লক্ষ্মীপুরে ইলিশের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ হাজার ৫শ’ মে.টন। যা গত বছরের চেয়ে ৫ হাজার মে.টন বেশি।
মেঘনায় মাছ শিকার করা জেলেরা জানান, ২২দিন মাছ ধরা বন্ধ ছিল। মধ্যরাত থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবার পর নদীতে মাছ শিকারে নামছেন। জালেও ধরা পড়ছে প্রচুর পরিমান ইলিশ। তবে বেশিরভাগ মা ইলিশ ডিম ছেড়েছেন। মাছের আকার অনেক বড়। দামও ক্রেতার নাগালের ভেতরে। এতে তারা অনেক খুশি।
মতিরহাটের আড়ৎদার লিটন বলেন, মাছ পাওয়া যাচ্ছে। দামও তুলনামূলক ক্রেতা ও বিক্রেতার নাগালের ভেতরে রয়েছে। এ হাটে সকাল ১০টায় পর্যন্ত প্রায় ২০ লাখ টাকার মাছ আমদানি ও রপ্তানি হচ্ছে।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে. প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনাল এলাকার ১শ’ কিলোমিটার পর্যন্ত ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন মেঘনায় ইলিশসহ সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিলো। এ সময় সব রকমের ইলিশ সংরক্ষণ, আহরন, পরিবহন, বাজারজাত করণ ও মজুদকরণ বন্ধ ছিলো।
এ জেলায় প্রায় ৫২ হাজার জেলে রয়েছে। এদের মধ্যে নিবন্ধধিত রয়েছে ৪২ হাজার জেলে। এদের সবাই মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে।
মোঃ কামাল উদ্দিন লক্ষ্মীপুর জেলা সংবাদদাতা