যশোরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নের প্রতিবাদে ময়লা অপসারণ বন্ধ। ময়লার ভাগাড়ে পরিনত হচ্ছে শহর।।

জীবন আচার্য্য যশোর :
গত ২দিন ধরে যশোর শহরের রেলবাজার হরিজন কলোনির বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ফলে বিদ্যুতবিহীন কলোনিটি রাতের বেলায় অন্ধকারে ডুবে থাকছে। সংযোগ না দেয়ার প্রতিবাদে পৌর এলাকা থেকে ময়লা অপসারণ বন্ধ রেখেছেন হরিজন সম্প্রদায়ভুক্ত পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। এতে শহর জুড়ে ময়লা-আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ময়লার ভাগাড়ে পরিনত হয়েছে শহরএতে করে শহরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছে । বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্নের প্রতিবাদে আজ শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে হরিজনর সম্প্রদায়েরা।বিদ্যুত বিভাগের কর্মকর্তাদের বক্তব্য, বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে মিটার পুড়ে যাওয়ায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করা হলে নতুন মিটার স্থাপন করা হবে না। সূত্রমতে, রোববার বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে মিটার পুড়ে সেখানকার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। কিন্তু ২ দিন পেরিয়ে গেলেও বিদ্যুৎ অফিস থেকে নতুন মিটার দিয়ে সংযোগ চালু করা হয়নি (ওজোপাডিকো) এর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১’র নির্বাহী প্রকৌশলী নাসির উদ্দীন জানান, রেলবাজার হরিজন কলোনির দীর্ঘদিনের বিদ্যুৎ বিল বাকি রয়েছে। বকেয়া বিল পরিশোধ না করলে নতুন মিটার স্থাপন করা যাবে না। তিনি আরো বলেন, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য চিফ ইঞ্জিনিয়ার মেয়রের সাথে কয়েকবার বৈঠক করার পরও বিল পরিশোধ হয়নি।যশোর পৌরসভার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হিরন লাল সরকার বলেন, কোন মেয়রের আমলে আমাদের বিদ্যুৎ বিল দেয়া লাগেনি। বর্তমান মেয়র বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। তার কারসাজিতে এটা হয়েছে। আমরা দুইদিন অন্ধকারে থাকলেও বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়নি। তাই আমরা শহরের ময়লা পরিস্কার বন্ধ করে দিয়েছি।যশোর পৌরসভার মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা হায়দার গনী খান পলাশ বলেন, হরিজনরা ফ্রিজ ও হিটারসহ বৈদ্যুতিক অনেক সরঞ্জাম ব্যবহার করে।  অথচ তারা বিদ্যুৎ বিল দেয় না। বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকতে থাকতে ৭ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।  পৌরসভার পক্ষে এতো টাকা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা সম্ভব না। হরিজনরা যদি বিদ্যুৎ বিল অল্প অল্প পরিশোধ করতো তাহলে সমস্যা হতো না।
Exit mobile version