যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট দেশটির আইনি বাধ্যবাধকতা মেনে ২০২২ সালের বিশ্ব মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ২০২২ কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্রাকটিসেস শীর্ষক বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। উল্লেখ্য যে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন মানবাধিকারকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতির কেন্দ্রে রেখেছেন।জাতিসংঘের মানবাধিকার চুক্তিগুলোর আলোকে প্রণীত বিশ্ব মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক এই বার্ষিক প্রতিবেদনে পৃথিবীর ১৯৮টি দেশ ও অঞ্চলের স্থানীয় মানবাধিকার ও শ্রমিকদের অধিকারের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বিগত প্রায় পাঁচ দশক ধরে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে। দেশ ও অঞ্চলভিত্তিক এই প্রতিবেদনে কোন আইনী সিদ্ধান্ত দেয়া হয় না কিংবা মানবাধিকার পরিস্থিতির ভিত্তিতে প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর কোন ক্রমতালিকা বা তুলনা করা হয় না।

যেমনটা স্টেট সেক্রেটারি ব্লিঙ্কেন বলেছেন যে, মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণা শুরু হয়েছে “সর্বজনীন” শব্দ দিয়ে, কারণ বিশ্বের দেশগুলো সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে কিছু নির্দিষ্ট অধিকার রয়েছে যা (বিশ্বের) প্রতিটি মানুষ, সর্বত্র ভোগ করার অধিকার রাখেন। যুক্তরাষ্ট্র সেই সকল অধিকার রক্ষায় বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার ও স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামী মানুষের পাশে থেকে সবসময় সমর্থন করে যাবে।

“স্বতন্ত্র ব্যক্তির অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন একটি অধিকতর নিরাপদ, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধশালী বিশ্ব গড়ে তুলতে সহায়তা করে। (মানুষের) মৌলিক স্বাধীনতা রক্ষা করার মধ্য দিয়ে দেশ হিসেবে আমাদের পরিচিতির মূল দিকটি ফুঁটে উঠে। যুক্তরাষ্ট্র সম্মান, শ্রদ্ধা ও অংশীদারিত্বের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নিয়মিতভাবে মানবাধিকারের বিষয়গুলো বাংলাদেশ সরকারের কাছে তুলে ধরছে। আমরা এই ধারা আগামীতেও অব্যাহত রাখব,” বলেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

যুক্তরাষ্ট্রের state.gov ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ২০২২ কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্রাকটিসেস  প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ছাড়াও এই প্রতিবেদনে থাকা অন্যান্য দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কেও জানা যাবে। আজকে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়কালের মানবাধিকার পরিস্থিতিকে তুলে ধরা হয়েছে।bd.usembassy.gov

Exit mobile version