বিশ্বকাপ থেকে সবার আগে বিদায় নিলেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার ক্ষীণ আশা এখনো বেঁচে আছে টাইগারদের।সেক্ষেত্রে বিশ্বকাপের বাকি দুটি ম্যাচের একটিতে তো জিততে হবেই, সঙ্গে অন্যটিতেও খুব বড় ব্যবধানে হারা যাবে না সাকিব আল হাসানদের। টাইগারদের বাকি দুটি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
বিশ্বকাপে লঙ্কানদের পারফরম্যান্স বিবেচনায় তাদেরকে হারানোর ভালো সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। এ সুযোগ টাইগারদের অবশ্যই কাজে লাগাতে হবে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় না পেলেও বেশি ব্যবধানে হারা যাবে না।
এই দুটি শর্ত মিললেই চলবে না। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা নিশ্চিত করতে হলে বাংলাদেশের সামনে আরও কিছু ‘যদি’ ‘কিন্তু’র সমীকরণ মেলাতে হবে। তাহলেই কেবল খুলতে পারে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ভাগ্য। এক্ষেত্রে অন্য শর্ত হলো, অবশ্যই শ্রীলংকা তাদের বাকি ম্যাচটিতেও (নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে) হারতে হবে।
অর্থ্যাৎ, লঙ্কানদের শেষ দুই ম্যাচে পরাজয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশকে একটিতে অবশ্যই বড় জয়ে রান রেট বাড়িয়ে নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে টাইগারদের জন্য সুবিধা হলো শ্রীলঙ্কা তাদের অন্য ম্যাচে মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ডের।
যাদের সামনে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার জন্য ওই ম্যাচটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেমিফাইনাল যেতে হলে লঙ্কানদের যে কোনোভাবে হারাতে চাইবে কিউইরা। যে কারণে ওই ম্যাচে লঙ্কানদের হারের সম্ভাবনাও বেশি।
বিশ্বকাপে ৭ টি ম্যাচ খেলে ২ জয়ে লঙ্কানদের সংগ্রহ ৪ পয়েন্ট (রানরেট -১.১৬২)। আর তাদের বিপক্ষে জিতলে টাইগাদের পয়েন্টও হবে ৪। বর্তমানে রানরেটে বাংলাদেশ কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও জয়ের কারণে লঙ্কানদের টপকে যেতে পারবে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হারলে কুশল মেন্ডিসদের পয়েন্ট আরও কমবে। সেক্ষেত্রে এর পুরো সুবিধা নেবে টাইগারবাহিনী।
বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা নিশ্চিতে আরও একটি সমীকরণের মুখোমুখি হবে। নেদারল্যান্ডসকে তাদের বাকি দুটি ম্যাচে হারতে হবে। এক্ষেত্রে ডাচদের জয়ের সম্ভাবনা একেবারেই কম। তাদের বাকি দুটি ম্যাচ যথাক্রমে ইংল্যান্ড ও ভারতের বিপক্ষে।
বিশ্বকাপের পয়েন্ট টেবিলের সবার নিচে অবস্থান করা ইংল্যান্ডেরও রয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সুযোগ। বাংলাদেশের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে বিশ্বকাপ আসর থেকে বিদায় নিয়েছে ইংলিশরা।