রাবি প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নির্মাণাধীন একাডেমিক ভবন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। ভবনটির ঠিকাদারী কোম্পানি মজিদ এন্ড সন্স’র কাছে গত শনিবার (৬ অগাস্ট) তিনি ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। ইদ সালামি হিসেবে এ টাকা দাবি করেছেন বললেও এর আগে ৩৪ হাজার ৫০০ টাকা চাঁদা তাকে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
ঘটনায় অভিযুক্ত মোমিনুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের সভাপতি। তিনি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর অনুসারী বলে জানা গেছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভবনের কাজ চলাকালে ছাত্রলীগ নেতা মোমিনুল ইসলাম সেখানে গিয়ে হল চালানোর খরচের কথা বলে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু প্রকল্পটির একজন সহকারী প্রকৌশলী জানিয়েছেন, এর আগেও তাকে ৩৪ হাজার ৫০০ টাকা চাঁদা দেয়া হয়েছে। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে তিনি তাদের কাছে চাঁদা চাওয়া শুরু করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রকল্পটির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ এখন আমরাও ভীত এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাদের কোম্পানির উপর মহলে জানানোর পর তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করেছে। গত ২ দিন ধরে আর আসেনি।”
চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মোমিনুল বলেন, ‘ আমি এ বিষয়ে অবগত নই। এক বছর ধরে কাজ চলছে কোনোদিন যাইনি। সামনে সম্মেলন আমি একজন প্রার্থী। আমি ইদ সালামি চাইনি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘বিষয়টি আমি অবগত নই। যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। তাহলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক প্রকৌশলী খন্দকার শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘সেখানে সমস্যা করছিল সেটা আমাকে জানানোর পর, আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবহিত করি। ভিসি স্যার বিষয়টা সরাসরি ডিল করছেন। এখন আর সমস্যা হচ্ছে না।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘অফিসিয়ালি আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি।##