রোজ নিয়ম করে খান চু’মু, রয়েছে অনেক উপকারিতা

তবে সে সবই তো কষ্টের কাজ।

রক্তচাপ ও রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে হবে টানা ২ মিনিট চুম্বন করলেই! জিমে ঘাম ঝরাচ্ছেন, আবার নিয়মিত ডায়েটও করছেন । তবে সে সবই তো কষ্টের কাজ।

কেমন হত, যদি মেদ ঝরত কোনো ভাললাগার কাজে। হ্যাঁ রোজ নিয়ম করে খান চুমু তাহলেই ঘটতে পারে এমনটা। আর শুধু ওজন কমানোই কেন, আরও নানা উপকার হয় চুমু খেলে। এক নজরে সেগুলো দেখে নেয়া যাক।

বিজ্ঞানীরা বলেন, মানসিক চাপ অনেকখানি কমে একটি চুম্বনে। শারীরিক অনুশীলন করার মতোই চুমু শরীরে ‘ হ্যাপি হরমোন ‘ নিঃসরণ করে । এ সেই হরমোন , যা আপনাকে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবৃত্তি কমিয়ে দেয়।

আজকাল প্রতিটি মানুষই কমবেশি মানসিক চাপের শিকার। আধুনিক গবেষণায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে , সামান্য একটা চুমু তোমার এই মানসিক চাপ, হাইপারটেনশন অনেকটাই কমিয়ে আনতে সক্ষম ।

সুস্থ যৌন জীবন শারীরিক সুস্থতার অন্যতম লক্ষণ । চুমু আমাদের শরীরে Testosterone নামক সেক্স হরমোনের ক্ষরণ ঘটে যা যৌনতার আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি করে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে, চুমু দেহে এড্রিনালিন হরমোনের ক্ষরণ ঘটায় , যা দেহের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে ।

নিয়মিত চুম্বন দাঁতের ক্ষয়রোধ করে। চুম্বনের সময় লালাগ্রন্থি লালারস ক্ষরণ ঘটায়, যা আমাদের দাঁতের ওপর একটি আস্তরণ সৃষ্টি করে ও খাবার আটকে থাকতে দেয় না ফলে দাঁতের ক্ষয় কম হয় ।

চুমু খাওয়ার ফলে শরীরের অক্সিটোসিন হরমোন ক্ষরণের মাত্রা বেড়ে যায়, যাকে “The Love Hormone” বলে । এর ফলে আমাদের মস্তিষ্কে এক ভালোবাসার অনুভূতি সৃষ্টি হয় এবং সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়। এতে স্নায়ু শান্ত হয়।

চুমুর ফলে মুখের প্রায় ৩০ টি পেশির নড়াচড়া হয় । ফলে মুখমণ্ডলের রক্তচলাচল বাড়ে । তাই ত্বক আরও উজ্জ্বল দেখায়। যদিও আমরা হয়তো কখনোই এভাবে ভাবিনা , কিন্তু চুম্বন একপ্রকারের ব্যায়ামও বটে ।

সবকটা ব্যায়ামই যদি এরকম মজাদার হতো তাহলে হয়তো আর ব্যায়াম করতে অনিচ্ছুক অলস মানুষ খুঁজে পাওয়া যেত না ।২ মিনিট একটানা চুম্বন করলে অন্তত ৬ ক্যালোরি ক্ষয় হয় ।

চুমু খাওয়ার সময় হৃৎপিণ্ড অধিক সক্রিয় হয়ে ওঠায় ব্যায়ামও হয় । ফলে রক্তচাপ ও রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। চুমু খাওয়ার অন্যতম ভালো একটি দিক ।

যাঁরা নিয়মিত চুমু খান, তাদের অনিদ্রার সমস্যা হয় না। চুম্বনের মাদ্ধমে যে লালারস বা সালিভার আদানপ্রদান হয় তাতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়।

২০১৪ সালে BioMed Central Ltd এর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, যে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে যেসমস্ত কাপলরা নিয়মিত চুম্বনের ফলে তাদের

এটা আমরা সবাই জানি যে চুমু প্রিয়জনের প্রতি ভালোবাসা প্রেম ও যত্নের প্রকাশ , তাই প্রিয়জনের কাছ থেকে পাওয়া এই চুমু অনেকক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে -এ কথা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।তথ্যসূত্র :নতুন সময়

Exit mobile version