র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের অভিযানে ফেনী থেকে বিপুল পরিমাণ চোরাই ভারতীয় শাড়ি উদ্ধারসহ ০৪ জন চোরাকারবারী আটক।

গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মালামাল সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

RAB-7 dt 17-08-2022 (বিপুল পরিমাণ চোরাই ভারতীয় শাড়ি উদ্ধারসহ ০৪ জন চোরাকারবারী আটক)

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

 

১। “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

২। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, কতিপয় চোরাকারবারী ফেনী জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে অবৈধভাবে বিভিন্ন ধরনের ভারতীয় শাড়ি কাপড় নিয়ে একটি মিনি পিকআপ ও একটি প্রাইভেটকারযোগে বিক্রির উদ্দেশ্যে ছাগলনাইয়া এলাকা হতে চট্টগ্রামের দিকে আসছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ১৭ আগস্ট ২০২২ইং তারিখ ০৬৩০ ঘটিকায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া থানাধীন ঢাকা হতে চট্টগ্রামগামী মহাসড়কের উপর একটি বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়ী তল্লাশী শুরু করে। এ সময় একটি মিনি পিকআপ এবং প্রাইভেটকার তল্লাশী করে আসামী ১। মোঃ রুবেল মিয়া (২৩), পিতা- আঃ রাজ্জাক, সাং- বড় পিলাক, থানা- গুইমারা, জেলা- খাগড়াছড়ি, ২। আরিফ হোসেন (২০), পিতা- হারুনুর রশিদ, সাং- হোসেনপুর, থানা ও জেলা- লক্ষ্মীপুর, ৩। মোঃ আলী নেওয়াজ মজুমদার (২১), পিতা- মোঃ আবু সাঈদ মজুমদার, সাং- উত্তর মটুয়া, থানা- ছাগলনাইয়া, জেলা- ফেনী এবং ৪। আরমান হোসেন (২৮), পিতা- আবুল কাশেম, সাং- মধ্য মটুয়া, থানা- ছাগলনাইয়া, জেলা- ফেনীদেরকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীদের দেখানো ও সনাক্তমতে তাদের দখলে থাকা মিনি পিকআপ এবং প্রাইভেটকারের ভিতরে মোট ৮৬৫ পিস ভারতীয় শাড়ি উদ্ধারসহ আসামীদের গ্রেফতার এবং মিনিপিকআপ এবং প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।

৩। গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ সীমান্তবর্তী দেশ ভারত হতে শুল্ক/কর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে বিভিন্ন কাপড় আনয়নপূর্বক বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে পাইকারী মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। উদ্ধারকৃত চোরাই কাপড়ের আনুমানিক মূল্য ১৩ লক্ষ টাকা।

৪। গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মালামাল সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Exit mobile version