লক্ষ্মীপুরে আ. লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পদ নিয়ে টানাটানি

সাবেক সভাপতি এম আলাউদ্দিনও আছেন।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পদ নিয়ে টানাটানি শুরু হয়েছে। চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক আবুল কাশেম চৌধুরী এবং কমিটির সদস্য ছাবির আহমেদ ও তার অনুগতরা আলাদা দুই নেতাকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করে প্রচারণা চালাচ্ছেন। ছাবিরের সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এম আলাউদ্দিনও আছেন।

শনিবার (২২ জানুয়ারি) রাত থেকে তারা পাল্টাপাল্টি প্রচারণা চালাচ্ছেন।

এতে বিভক্ত হয়ে পড়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। এছাড়া অতি উৎসাহী হয়ে কিছু নেতাকর্মী ফেসবুকে প্রতিপক্ষকে দোষারোপ করে উস্কানিমূলক পোষ্ট দিচ্ছেন।

 

দলীয় সূত্র জানায়, চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন দেওয়া হয় আইনুল আহমেদ তানভীরকে। তিনি জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি এম আলাউদ্দিনের ছেলে। দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী নির্বাচন করায় ১৬ ডিসেম্বর চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিনকে বহিস্কার করা হয়। এতে পদটি শূন্য রয়েছে। নির্বাচনে নুরুল আমিন বিজয়ী হন।

এদিকে শূন্যপদের দায়িত্ব নিয়ে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষ টানাটানি শুরু করেছে। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন লিটনকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবুল কাশেম চৌধুরী।

অন্যদিকে একই কমিটির সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদিন কাজলকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব অর্পন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ছাবির আহমেদ।

ছাবির আহমেদ জানিয়েছেন, শনিবার রাতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ কমিটির নেতারা সভা করে জয়নাল আবেদিনকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেন। এটি দলের নিয়ম অনুযায়ী হয়েছে। সেখানে আমি ও জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি এম আলাউদ্দিনসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

রাতে আবুল কাশেম চৌধুরী ইউনিয়নের গিয়াস উদ্দিন লিটনকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ঘোষণা করে ফেসবুকে পোষ্ট দেন। তিনি বলেন, গিয়াস উদ্দিনকে যারা মানবে না, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় দুই যুবলীগ নেতা বলেন, যেভাবে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নিয়ে টানাটানি চলছে তা আপত্তিজনক। আসলে কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি? এটা নিয়েও আমাদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।

Exit mobile version