লক্ষ্মীপুরে সেই কিশোর হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ আসামি ৮

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি।।

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় কিশোর রাসেল হোসেন হত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা বিএম শাহজালাল রাহুলসহ আটজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। এদের মধ্যে রাহুলসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের মিয়ারহাট বাজারে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে রাসেল নিহত হয়। আহত হয় আরও ১০ জন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে রাহুলসহ পাঁচজনকে আটক করে।

সন্ধ্যায় রায়পুর থানা পুলিশ উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের মিয়ারহাট বাজারে থাকা রাহুলের আস্তানা থেকে তিনটি ধারালো ছুরি, একটি রামদা, একটি চাপাতি, তিনটি চাকু এবং তিনটি খেলনা পিস্তল জব্দ করে। রাতে নিহত রাসেলের মা ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় আটকদের গ্রেফতার দেখানো হয়।

গ্রেফতার রাহুল উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক। গ্রেফতার অন্যরা হলেন- সদর উপজেলার পূর্ব নন্দনপুর গ্রামের মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে মো. সোহাগ (২৭), রায়পুরের চরলক্ষ্মী গ্রামের মৃত ইউসুফ কারীর ছেলে ফারুক কারী ও চরকাছিয়া গ্রামের মানিক শিকদারের ছেলে সুমন শিকদার (৩০)। তারা রাহুলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
এজাহারে নিহতের মা ফাতেমা বেগম উল্লেখ করেন, তার স্বামী মনির চরের জমিতে ফসল চাষাবাদ করেন। তবে সেই জমির ফসল জোরপূর্বক কেটে নেন আওয়ামী লীগ নেতা রাহুল। এ নিয়ে তার স্বামী প্রতিবাদ করলে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।

বুধবার সকালে রাসেল সেই জমি দেখাশোনা করতে ঘর থেকে বের হয়। পথে মাছঘাটে পৌঁছালে রাহুল তার লোকজন নিয়ে রাসেল ও তার বাবা মনির হোসেনের ওপর হামলা করে। হামলাকারীরা রাসেলের পেটে ধারালো ছুরি ঢুকিয়ে দিলে সে গুরুতর জখম হয়। স্থানীয় লোকজন রাসেলকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে জানান।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া বলেন, আটকদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

Exit mobile version