শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পূর্নাঙ্গ তালিকা কতদূর ? : মোস্তফা

কবে জাতি তাদের বীর সন্তানদের পূনাঙ্গ তালিকা জানতে পারবে ?

News 14-12-2021

বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর মাহেন্দ্রক্ষণে বাংলাদেশ। এই বিজয় ছিনিয়ে আনতে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে কতজন মেধাবী সূর্য সন্তানকে জাতি হারিয়েছিল তার কোনো চূড়ান্ত তালিকা হয়নি আজও বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া সরকারের নিকট জানতে চান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পূর্নাঙ্গ তালিকা কতদূর ? কবে জাতি তাদের বীর সন্তানদের পূনাঙ্গ তালিকা জানতে পারবে ?

মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি কর্তৃক গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মীরপুরে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার এই অর্ধশত বছরে শুধুমাত্র প্রণয়ন করা হয়েছে শহীদ বুদ্ধিজীবীর সংজ্ঞা আর পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির অংশ হিসেবে প্রাথমিকভাবে অনুমোদিত এক হাজার ২২২ জনের মধ্যে প্রথম ধাপে ১৯১ জনের তালিকা।

তিনি আরো বলেন, প্রায় একযুগেরও অধিক সময় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায়। কিন্তু এখনো বুদ্ধিজীবীদের চূড়ান্ত তালিকা ও বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণ করা হয়নি তা গোটা জাতির জন্য খুবই দুঃখজনক। শুধু বুদ্ধিজীবী দিবস ছাড়া তাদের কেউ স্মরণও করে না। ফলে তাদের ইতিহাস অনেকটা অজানাই রয়ে গেছে তরুণ প্রজন্মের কাছে।

তিনি বলেন, শোষণমুক্ত সমাজ গড়তে পারলেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে। বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার কাংখিত লক্ষ্যে জাতিকে পৌঁছাতে দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ।

এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের ত্যাগ ও আদর্শ আর চলার পথটিকে আজকের তরুণ প্রজন্মের কাছে খুব ভালো ভাবে জাগ্রত করা প্রয়োজন। তাহলেই তারা উদ্বুদ্ধ এবং অনুপ্রাণিত হবে। তারা দেশের অন্যায় অমানবিকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে জাতিকে শক্তি ও সাহস যোগাবে। পুরো বছরের মধ্যে ১৪ ডিসেম্বর এলেই শুধু মাত্র বুদ্ধিজীবীদের কথা জাতি যেন স্মরণে আনে। এটা বাঙালি জাতির একটি চরম ব্যর্থতা।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন এনডিপি ভাইস চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ, বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আবদুল খালেক, জাতীয় নারী আন্দোলন সভাপতি মিতা রহমান, সাধারণ সম্পাদক নাজমা আক্তার প্রমুখ।

Exit mobile version