শিক্ষককে লাঞ্ছনার প্রতিবাদে  পবিপ্রবি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রশাসনিক ভবনে তালা অবরুদ্ধ কর্মকর্তা কর্মচারীরা

দুমকি(পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ শিক্ষককে লাঞ্ছনার প্রতিবাদ এবং এ ঘটনায় অভিযুক্ত পিওটু প্রোভিসি মো: সামসুল হক ওরফে রাসেলের বহিস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ। রবিবার(১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের গেটে তালা লাগিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে গেটের সামনে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়। তাদের দাবি একাধিক শিক্ষক লাঞ্চিত করার অভিযোগে অভিযুক্ত পিওটু প্রোভিসি মো: সামসুল হক ওরফে রাসেলেকে অবিলম্বে চাকুরীচ্যুত করতে হবে। তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচী চলমান থাকবে। এদিকে দুপুরে শিক্ষক সমিতির সাধারন সভা শেষে ক্যাম্পাসে মৌন মিছিল ও মানব বন্ধন করেন শিক্ষকরা। মানব বন্ধন থেকে শিক্ষককে হত্যার হুমকি দেয়ার ঘটনায় রাসেলকে চাকুরিচ্যুক না করা পর্যন্ত সকল শিক্ষা কার্যক্রম ক্লাস -পরীক্ষা স্থগিত রাখার ঘোষনা দেয়া হয়। মানব বন্ধন শেষে ছাত্রদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেন তারা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানায়, শনিবার(১৭ই ফেব্রুয়ারি) রাত ৯ টায় পবিপ্রবির শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য নির্ধারিত কৃষিকুঞ্জের ডাইনিং কক্ষে কৃষি অনুষদের পোষ্ট হারভেষ্ট এন্ড মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: নজরুল ইসলামকে লাঞ্চিত করেছেন রাসেল। এর আগেও রাসেল সহকারী অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন  মন্ডলকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন, যার ভিডিও ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে । এছাড়াও মাসে ৪৫ দিনের বেতন নেওয়া, নিয়মিতভাবে অফিস না করা সহ নানা বিতর্কে বিতর্কিত তিনি। তাই তাকে অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করতে হবে।
সহকারী অধ্যাপক মো: নজরুল ইসলাম বলেন,   শনিবার ডাইনিং এ রাসেল আমাকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং উপস্থিত অন্য শিক্ষকদের সামনেই আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং পরবর্তীতে আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে বলে “তোকে যেখানে পাবো সেখানেই মারবো, তোর পেছনে কে আছে দেখে নেবো, তুই যা, দেখি তোর মাইর কে বাঁচায়”।
এবিষয়ে পবিপ্রবি শিক্ষক সমিতিতে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সামসুল হক ওরফে রাসেল সাংবাদিকদের জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক শেখ তানজিলা দোলার সাথে মো: নজরুল ইসলামের বিভাগীয় বিষয়ে মতানৈক্য সৃষ্টি হয়। দোলা তার আত্মীয় হওয়ায় নজরুলকে দোলার সাথে কোনো ঝামেলা না করার জন্য অনুরোধ করেন। পরবর্তীতে এই বিষয়ে তাঁর সাথে কথা কাটাকাটির হয়। তবে মারামারির বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়টির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত সাংবাদিকদের জানান, দাপ্তরিক কাজে তিনি বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন। এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
#
Exit mobile version